১০ নম্বর জাতীয় সড়কে ধস। নিজস্ব চিত্র।
দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গেও বেশ কিছু জেলায় বৃষ্টির দাপট বেড়েছে। চলতি সপ্তাহে বুধবার রাত থেকে বৃষ্টি শুরু হলেও তীব্রতা বাড়ে শনিবার রাত থেকে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, রবিবার উত্তরবঙ্গের সবক’টি জেলাতেই ভারী বৃষ্টি হবে। সোমবারও বৃষ্টি হতে পারে দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার-সহ উত্তরের আটটি জেলায়। কোথাও কোথাও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হবে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
শনিবার শিলিগুড়ি এবং সংলগ্ন এলাকায় ভারী বৃষ্টির জেরে নিচু এলাকাগুলিতে জল জমে যায়। ঘণ্টাখানেকের বৃষ্টিতে বহু এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। যদিও সেই জল কয়েক ঘণ্টা পর নেমে যায়। তবে রাত থেকে পাহাড় এবং সমতলে আবার ভারী বৃষ্টি শুরু হয়। এই বৃষ্টির জেরে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের একাংশে ধস নেমেছে। ফলে যান চলাচলের উপর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে।
রম্ভী থানার অন্তর্গত লোহাপুলের কাছে শ্বেতীঝোড়ায় ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের একাংশ ধসে যাওয়ায় রবিবার সকাল থেকে শিলিগুড়ি থেকে ঘুরপথে সিকিমে যেতে হচ্ছে। অন্য দিকে, সিকিম থেকেই শিলিগুড়ির দিকে আসা গাড়িগুলিকে অন্য পথে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আবার তিস্তা থেকে শিলিগুড়ি যাওয়ার ক্ষেত্রে কার্শিয়াং হয়ে যেতে হচ্ছে। বড় এবং ভারী গাড়িগুলি চিত্রে ফটক, কালিম্পং, লাভা, গরুবাথান এবং করোনেশন ব্রিজ ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। শিলিগুড়ি থেকে পাহাড়ে ওঠার সময় গাড়ির পথ ঘুরিয়ে দেওয়ায় অনেকেই সমস্যায় পড়ছেন। ঘুরপথে যাওয়ার কারণে সময়ও বেশি লাগছে বলে দাবি গাড়িচালকদের।
সিকিম আবহাওয়া দফতরের ডিরেক্টর ডক্টর গোপীনাথ রাহা জানিয়েছেন, আগামী ২৪ ঘণ্টা এ রকম বৃষ্টি চলবে। ২৪ ঘণ্টা পর থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কমবে।