— ফাইল চিত্র।
তাপপ্রবাহ থেকে এখনই রেহাই নেই। আগামী কয়েক দিনেও রাজ্যের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে জারি থাকবে প্রবল গরম। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, তাপপ্রবাহ চলবে আগামী শনিবার (৪ মে) পর্যন্ত। পাশাপাশি, হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, দুই বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া জেলায় রাতেও গরমের দাপট অনুভূত হবে।
তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে বাংলা। রাস্তায় বেরিয়ে গলদঘর্ম অবস্থা সাধারণ মানুষের। এসির দোকানে পড়ছে লম্বা লাইন। আচমকাই ফ্যানের চাহিদা আকাশ ছুঁয়েছে। কিন্তু তবুও রেহাই নেই তাপের হাত থেকে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, এখনই এই পরিস্থিতির বদলের কোনও সম্ভাবনা নেই। বরং শনিবার পর্যন্ত এই পরিস্থিতিই বিরাজ করবে বাংলায়। সারা দিন প্রবল গরমের পর মানুষ চেয়ে থাকেন সূর্যাস্তের দিকে। বেলা পড়লে খানিক হলেও কমে তাপমাত্রা। রাতের দিকে দিনের দহনজ্বালা অনেক কম অনুভূত হয়। অন্তত তেমনটাই মনে করেন সাধারণ মানুষ। কিন্তু এ বার তাঁদের জন্য মন খারাপ করা খবর দিল হাওয়া অফিস। আগামী কয়েক দিন রাজ্যের কয়েকটি জেলায় রাতের তাপমাত্রাও বৃদ্ধি পাবে। এর ফলে দিনের গরমে ভাজাপোড়া হওয়ার পরে রাতেও নিস্তার নেই দুই ২৪ পরগনা, দুই বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়ার বাসিন্দাদের।
মঙ্গল এবং বুধবার অতি তীব্র তাপপ্রবাহের জেরে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম, ঝাড়গ্রাম, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং দুই বর্ধমান জেলায়। এ ছাড়া বাকি জেলাগুলিতেও তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি জারি থাকবে। বৃহস্পতিবার (২ মে) তাপপ্রবাহের পরিস্থিতির জেরে লাল সতর্কতা জারি হয়েছে সেই জেলাগুলিতেই। বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং দুই বর্ধমানে মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত রাতের তাপমাত্রাও ঊর্ধ্বমুখী থাকবে।
গরম থেকে রেহাই নেই উত্তরবঙ্গেরও । আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, বৃহস্পতি এবং শুক্রবার তাপপ্রবাহ চলবে মালদহ এবং দুই দিনাজপুর জেলায়। সেখানে জারি হয়েছে কমলা সতর্কতা। জলপাইগুড়ি, কোচবিহারে হলুদ সতর্কতা জারি হয়েছে মঙ্গলবার ও বুধবার।
এ বছর গরমের মরসুমে কলকাতার পারদ সর্বোচ্চ ৪১.৭ ডিগ্রি ছুঁয়েছে। সোমবারই ওই রেকর্ড তাপমাত্রা হয়েছিল শহরে। ১৯৮০ সালের পর থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এটিই ছিল এপ্রিলের কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। সোমবারের আগে শেষ বার কলকাতা এতটা তপ্ত হয়েছিল ১৯৮০ সালে। হাওয়া অফিসের রেকর্ড অনুযায়ী, তার আগে ১৯৫৪ সালের এপ্রিল মাসে শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছুঁয়েছিল ৪৩.৩ ডিগ্রি। এটাই কলকাতার সর্বকালীন সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড।