তাপপ্রবাহে পুড়ছে দেশের একাংশ। ছবি: পিটিআই।
পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশের চার রাজ্যে আগামী দু’তিন চূড়ান্ত সতর্কতা জারি করল মৌসম ভবন। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া বিহার, ওড়িশা এবং অন্ধ্রপ্রদেশে তাপপ্রবাহের দাপট চলবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
মৌসম ভবন জানিয়েছে, পূর্ব ভারতে তাপপ্রবাহের দাপট দু’তিন দিন ধরে যেমন চলবে, আবার দক্ষিণ ভারতে এই পরিস্থিতি জারি থাকবে আগামী পাঁচ দিন। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা এবং ঝাড়খণ্ডের কিছু অংশে ১ মে (বুধবার) পর্যন্ত, আবার কোথাও কোথাও ২ মে পর্যন্ত তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি বজায় থাকবে। অন্য দিকে, রায়লসীমা, অভ্যন্তরীণ কর্নাটক, তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশে ৩ মে পর্যন্ত তাপপ্রবাহ চলবে।
তেলঙ্গানা এবং সিকিমের কিছু অংশেও তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন। সোমবার দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা ছিল পশ্চিমবঙ্গের কলাইকুন্ডায় (৪৫.৪ ডিগ্রি)। তার পরই ছিল অন্ধ্রপ্রদেশের নান্দিয়াল (৪৫ ডিগ্রি), তৃতীয় স্থানে ছিল ওড়িশার বারিপদা এবং পশ্চিমবঙ্গের পানাগড়। সোমবার ওই দুই জায়গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৪.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ওই দিন ৪৪ ডিগ্রির উপরে ছিল পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর, পানাগড় এবং সিউড়ি। অন্য দিকে, বিহারের শেখপুরা, ভাগলপুর এবং পূর্ণিয়া, উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজ, ওড়িশার আঙ্গুল এবং অন্ধ্রপ্রদেশের অনন্তপুরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
পূর্ব এবং দক্ষিণ ভারত যখন রোদে পুড়ছে, তাপপ্রবাহের দাপটে যখন নাভিশ্বাস উঠছে, উত্তর-পশ্চিম ভারতে বিপরীত ছবি ধরা পড়ছে। পূর্ব আফগানিস্তান এবং উত্তর-পশ্চিম রাজস্থানের উপর দু’টি ঘূর্ণাবর্তের জেরে ওই অঞ্চলে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। পঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড় এবং উত্তরপ্রদেশে ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে বজ্রবিদ্যুতের পূর্বাভাস দিয়েছে মৌসম ভবন। আবার হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ডে শিলাবৃষ্টি এবং জম্মু-কাশ্মীরে ভারীত থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
উত্তর-পূর্ব অসমের উপর একটি ঘূর্ণাবর্ত সৃষ্টি হওয়ায় অরুণাচল প্রদেশে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি এবং তুষারপাত হতে পারে। অন্য দিকে, অসম, মেঘালয়, নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মিজ়োরাম এবং ত্রিপুরায় ৩ মে পর্যন্ত বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি এবং ঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে।