Saradha Scam and Rose Valley Scam

একই দিনে সারদা ও রোজ় ভ্যালি শুনানি

বুধবার আদালতে সারদার মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত, সারদার হিসেবরক্ষক নরেশ বালোটিয়ার জামিন মঞ্জুর করেছেন বিচার ভবনের সিবিআই (পিএমএলএ) বিশেষ আদালতের বিচারক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩১ অগস্ট ২০২৩ ০৬:০৩
Share:

—প্রতীকী ছবি।

প্রায় আট বছর আগে শুরু হওয়া তদন্ত মাঝে ঝিমিয়ে পড়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থা সারদা, রোজ় ভ্যালি-সহ সেই তদন্ত আবার কোনও এক ‘যাদুবলে’ মাথাচাড়া দিয়েছে। সারদা মামলায় অতিরিক্ত চাজর্শিট দিয়েছে ইডি। আদালতে জানানো হয়েছে, সম্প্রতি তদন্তে উঠে আসা নানা গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের ভিত্তিতে এই দ্বিতীয় সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট পেশ করা হয়েছে। বুধবার সেই মামলা ওঠে আদালতে।

Advertisement

অন্য দিকে, এ দিনই রোজ় ভ্যালির বেআইনি সংস্থার মামলায় মূল অভিযুক্ত গৌতম কুণ্ডু-সহ তিন জনকেও আদালতে পেশ করা হয়। রোজ় ভ্যালির বিরুদ্ধে ইডির দু’টি মামলা রয়েছে। একটি মামলায় জামিনে রয়েছেন গৌতম। ওই মামলার পরবর্তী শুনানি ১৫ই ডিসেম্বর বলে আদালত সূত্রের খবর। এ ছাড়াও বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থা পিনকনের মালিক মনোরঞ্জন রায় ও তাঁর সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ব্যবসায়ী কৌস্তুভ রায় ও প্রীতিময় চক্রবর্তীকে সম্প্রতি গ্রেফতার করা হয়েছে। ধরা হয়েছে চক্র গ্রুপের কর্তাকেও।

বুধবার আদালতে সারদার মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত, সারদার হিসেবরক্ষক নরেশ বালোটিয়ার জামিন মঞ্জুর করেছেন বিচার ভবনের সিবিআই (পিএমএলএ) বিশেষ আদালতের বিচারক। উল্লেখ্য, নরেশ ছাড়াও প্রাক্তন পুলিশকর্তা রজত মজুমদার, ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় ওরফে নিতু ও দু’টি সংস্থা-সহ সাত জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করা হয়। তারই প্রেক্ষিতে বুধবার আদালতে নরেশ জামিনের আবেদন করেন। বাকিদের কেউই এ দিন আদালতে হাজির হননি।

Advertisement

ইডির আইনজীবী অভিজিৎ ভদ্র বলেন, ‘‘দ্বিতীয় সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট পেশ করার পরে আদালত সাত জনকে সমন করেছিল। নরেশ হাজির হন। নরেশের জামিনের বিরোধিতা করা হয়েছিল। তবে বিচারক জামিন মঞ্জুর করেছেন। বাকি ছ’জন আইনজীবী মারফত সময় চেয়ে আবেদন করেছেন। ১৪ ডিসেম্বর ওই আবেদনের শুনানি হবে।’’

সারদা মামলাতেই ইতিমধ্যে সিবিআই প্রায় ১৫টি চার্জশিট জমা করেছে। আর ইডি সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন, দেবযানী মুখোপাধ্যায় ও বেশ কয়েকটি সংস্থা-সহ মোট ৩৪ জনের বিরুদ্ধে মোট তিনটি চার্জশিট পেশ করেছে। ইডির দাবি, প্রায় ২৪০০ কোটি টাকারও বেশি আর্থিক দুর্নীতির মামলা রয়েছে সারদার বিরুদ্ধে। অভিযোগ, অতিরিক্ত মুনাফার লোভ দেখিয়ে ২০০৮-০৯ এবং ২০১২-১৪ সালে কয়েক লক্ষ আমানতকারীর টাকা লুট করা হয়েছে। এই মামলায় একাধিক প্রভাবশালীরাও জড়িত রয়েছেন বলে দাবি করেছেন তদন্তকারীরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement