—ফাইল চিত্র।
অ্যাডভোকেট জেনারেল আসেননি জানিয়ে বিমল গুরুং মামলার শুনানি কয়েক সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন করেছিল সরকার। কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিটে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং মনোজিৎ মণ্ডলের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছে, আগামী বৃহস্পতিবার থেকেই মামলা তথা আগাম জামিনের আবেদনগুলি শোনা হবে। গুরুংয়ের বিরুদ্ধে থাকা ১২০টির মামলায় কোনটায় কী ধারা, কী অভিযোগ দেওয়া হয়েছে, বর্তমানে কী অবস্থায় রয়েছে সেগুলি— তার তালিকা তৈরি করে বৃহস্পতিবার জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বেঞ্চ। সে দিন কিছু আবেদন শুনে বাকিগুলি নিয়ে সওয়াল জবাবের জন্য একটি নির্দিষ্ট দিন স্থির করে দিতে পারে ডিভিশন বেঞ্চ।
গুরুং এবং রোশন গিরির বিরুদ্ধে থাকা ১২০টি মামলায় আগাম জামিনের আবেদনের শুনানি হওয়ার কথা ছিল এ দিন থেকে। ৩০ অগস্ট পর্যন্ত এই পর্যায়ে সার্কিট বেঞ্চ চলার কথা। গুরুং মামলা উঠতেই রাজ্যের তরফে অতিরিক্ত সরকারি আইনজীবী অদিতিশঙ্কর চক্রবর্তী এবং সরকারি আইনজীবী সৈকত চট্টোপাধ্যায় উঠে জানান, অ্যাডভোকেট জেনারেল এই মামলায় সওয়াল করবেন। তিনি এ দিন আসতে পারেননি। আগামী সার্কিটে মামলা পাঠিয়ে দিতে তাঁরা অনুরোধ করেন। রাজ্য সরকার মামলার শুনানিতে ক্রমাগত টালবাহানা করছে বলে পাল্টা অভিযোগ করেন গুরুংয়ের আইনজীবী ওয়াই জে দস্তুর। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী গুরুংয়ের আইনজীবীর কাছে জানতে চান, মামলার শুনানি শুরু না হওয়া পর্যন্ত তাঁর মক্কেলকে গ্রেফতার করা যাবে না— এই শর্তে তিনি রাজি কিনা। গুরুংকে গ্রেফতার করা যাবে না, এই শর্তের কথা শুনে আপত্তি জানান সরকারি আইনজীবীরা। গ্রেফতার করতে না পারার রক্ষাকবচ হাইকোর্ট থেকে পেলে গুরুংয়ের পায়ের তলায় মাটি শক্ত হবে বলে সরকারি তরফে আশঙ্কা রয়েছে। রক্ষাকবচ আটকাতে চলতি সপ্তাহেই ফের শুনানিতে রাজি হয়ে যায় সরকার পক্ষ।
গত লোকসভা ভোটের আগে গুরুং পাহাড়ে ফিরতে চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেছিলেন। সুপ্রিম কোর্ট গুরুংকে হাইকোর্টে আবেদন করতে বলে। আবেদনের সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। গুরুংয়ের আইনজীবীদের অভিযোগ, সে সময়ে আবেদন করলেও সরকারি আইনজীবীরা নিজেদের অফিস বন্ধ করে রেখেছিলেন, যার জেরে মামলার নথি জমা দেওয়া যায়নি। কবে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, তার কত দিন পরে আগাম জামিনের আবেদন দাখিল করা হয়, তারও তালিকা তৈরি করে গুরুংয়ের আইনজীবীদের আদালতে পেশ করতে নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।