Saline Controversy

ভেন্টিলেশনে নাসরিন ও মাম্পি, ফুসফুসে সংক্রমণ অন্য প্রসূতির! মেডিক্যাল বোর্ডে বাড়ল সদস্যসংখ্যা

শারীরিক অবস্থার অবনতির কারণে রবিবার রাতে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ থেকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় মাম্পি, মিনারা এবং নাসরিনকে। সেখানেই চিকিৎসা চলছে তাঁদের।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৫ ১৫:০১
Share:

রবিবার অসুস্থ প্রসূতি মিনারা বিবিকে এসএসকেএমে ভর্তি করানোর মুহূর্তের ছবি। —ফাইল চিত্র।

এখনও সঙ্কটজনক দুই প্রসূতি। তাঁদের রাখা হয়েছে এসএসকেএমের ভেন্টিলেশনে। অন্য প্রসূতির শারীরিক অবস্থাও খুব একটা ভাল নয়। আইটিইউতে রেখে তাঁর চিকিৎসা চলছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই প্রসূতির শরীরেও অনেক জটিলতা রয়েছে।

Advertisement

রেখা সাউ, মামনি রুইদাস, মাম্পি সিংহ, মিনারা বিবি, নাসরিন খাতুন— এই পাঁচ প্রসূতি গত বুধবার সন্তান জন্মের পরে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। তাঁদের প্রস্রাব বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। অভিযোগ, স্যালাইন নিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তাঁরা। এর পরেই স্যালাইনের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। শুক্রবার তাঁদের মধ্যে মামনির মৃত্যু হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতির কারণে রবিবার রাতে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ থেকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় মাম্পি, মিনারা এবং নাসরিনকে। প্রথমে পাঁচ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করে তাঁদের চিকিৎসা শুরু হয়। মঙ্গলবার সেই মেডিক্যাল বোর্ডে সদস্যসংখ্যা বাড়িয়ে ১৩ করা হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে।

সূত্রের খবর, মাম্পি এবং নাসরিনের অবস্থা এখনও সঙ্কটজনক। দু’জনেরই কিডনিতে সংক্রমণ রয়েছে। বর্তমানে ভেন্টিলেশনে রেখে চিকিৎসা করা হচ্ছে তাঁদের। মিনারার ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। রক্তের প্লেটলেটও কমেছে। চিকিৎসকদের এখন প্রথম লক্ষ্য প্রসূতিদের শরীরে সংক্রমণের মাত্রা কমানো। অন্য দিকে, অসুস্থ হয়ে মেদিনীপুর মেডিক্যালে ভর্তি মামনি এবং রেখার দুই সদ্যোজাত। চিকিৎসা চলছে সেখানে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, রেখার সন্তানের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সে দিক থেকে খানিকটা সুস্থ আছে মামনির পুত্র।

Advertisement

মেদিনীপুর মেডিক্যালে প্রসূতির মৃত্যু এবং অসুস্থ হয়ে পড়ার ঘটনায় শোরগোল পড়েছে। অভিযোগ, নিম্নমানের স্যালাইন দেওয়া হয়েছিল প্রসূতিদের। আর তা থেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রসূতিরা। সেই ঘটনার তদন্তে রাজ্য সরকার সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি, স্বাস্থ্য দফতরের তৈরি করা তদন্তকারী দলও তদন্ত করছে। তারা ইতিমধ্যেই প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement