কলকাতার হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে সুকান্ত মজুমদারের। — ফাইল চিত্র।
টাকিতে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির সময় অসুস্থ হয়ে পড়েন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। প্রথমে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে এবং পরে তাঁকে কলকাতায় এনে বাইপাসের ধারের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, কোমর-সহ শরীরের বেশ কিছু জায়গায় চোট পেয়েছেন সুকান্ত। পড়ে গিয়েই চোট লেগেছে তাঁর। চিকিৎসা চলছে।
সুকান্তকে নিউরোলজি বিভাগে ভর্তি করানো হয়েছিল। বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসা চলছে তাঁর। হাসপাতাল সূত্রে খবর, বুধবার রাতে এমআরআই করা হয়েছে সুকান্তের। তার আগে সিটি স্ক্যানও হয়েছিল তাঁর। চোটের কারণে মূলত কোমরে সমস্যা ধরা পড়েছে। আরও চিকিৎসার প্রয়োজন রয়েছে সুকান্তর। চিকিৎসকেরা সব পরীক্ষার রিপোর্ট দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন। তাঁকে তরল খাবার খেতে দেওয়া হচ্ছে। স্নায়ুর চিকিৎসা চলবে তাঁর। বৃহস্পতিবার সকালেও তন্দ্রাচ্ছন্ন রয়েছেন সুকান্ত।
সন্দেশখালির ঘটনার প্রতিবাদে এসপি অফিস অভিযানের ডাক দিয়েছিল বিজেপি। এই কর্মসূচির নেতৃত্বে ছিলেন সুকান্ত। সন্দেশখালির ঘটনায় বিজেপির সাত জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁদের মুক্তির দাবিতে মঙ্গলবার রাতভর সুকান্ত ধর্না দেন। রাতে তাঁকে আটকও করা হয়েছিল। তবে কিছু ক্ষণের মধ্যেই পুলিশ সুকান্তকে ছেড়ে দেয়। টাকির এক হোটেলে রাতে ছিলেন সুকান্ত। বুধবার আবারও সন্দেশখালি যাওয়ার চেষ্টা করেন তিনি।
সকালে টাকির হোটেল থেকে তিনি এবং অন্যান্য বিজেপি নেতা-কর্মীরা বার হতেই আটকে দেয় পুলিশ। শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে বচসা, ধস্তাধস্তি। সেই ঝামেলার মধ্যেই পুলিশের গাড়ির বনেটে উঠে পড়েন সুকান্ত। কিছু ক্ষণ বনেটের উপর দাঁড়িয়ে থাকার পর দেখা যায় সুকান্তকে কোলে করে নামিয়ে আনছেন নিরাপত্তারক্ষীরা। তিনি বনেটের উপরে শুয়ে পড়েন। বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে, সুকান্ত সংজ্ঞা হারিয়েছিলেন। পরে জ্ঞান ফেরে তাঁর। পুলিশ তৎক্ষণাৎ তাঁকে ওই ভিড়ের মধ্যে থেকে উদ্ধার করে প্রথমে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর গাড়ি করে কলকাতার হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় সুকান্তকে।
বুধবার রাতেই রাজ্য বিজেপি সভাপতিকে দেখতে হাসপাতালে যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পরে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে তিনি বলেন, ‘‘সুকান্ত আইসিইউ-তে রয়েছেন। স্যালাইন ছাড়া তিনি কিছুই নিতে পারছেন না। বমি বমি ভাব রয়েছে।’’ বিজেপি সূত্রে খবর, সুকান্তকে অক্সিজেন দেওয়া হয়েছে। স্যালাইন চলছে। ব্যথা কমানোর ওষুধও খাওয়ানো হয়েছে।