বাসে সন্দেশখালি রওনা শুভেন্দুদের। ছবি: সংগৃহীত।
সন্দেশখালি অভিমুখে রওনা হয়ে বাসন্তী হাই ওয়েতে আবার থমকে যায় শুভেন্দু অধিকারীদের বাস। বিজেপির চার বিধায়ক বাসে করে যাচ্ছেন সন্দেশখালি। কিন্তু বাসন্তী হাই ওয়েতে তাঁদের বাস আটকায় পুলিশ। তার পর অবশ্য ছেড়ে দেওয়া হয়।
সন্দেশখালির কয়েকটি জায়গায় জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। তার মধ্যেই সন্দেশখালি রওনা হলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ১৪৪ ধারার নিয়ম মেনে শুভেন্দু সঙ্গে নিয়েছেন মাত্র তিন জন বিজেপি বিধায়ককে। তাঁরা হলেন, তাপসী মণ্ডল, চন্দনা বাউড়ি এবং শঙ্কর ঘোষ। বিধানসভার সামনে বাসে ওঠার সময় শুভেন্দু জানিয়েছেন, পুলিশ তাঁদের আটকে দিলে তিনি আদালতের দ্বারস্থ হবেন। অন্য দিকে, সাম্প্রতিক ঘটনাবলী থেকে শিক্ষা নিয়ে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে পুলিশও।
আগেও সন্দেশখালি যেতে চেয়েছিলেন শুভেন্দু। কিন্তু গত ১২ ফেব্রুয়ারি তাঁর বাস সায়েন্স সিটির কাছেই আটকে দিয়েছিল পুলিশ। বৃহস্পতিবারও সেখানেই আবার আটকায় তাঁদের বাস। যদিও কিছু ক্ষণের মধ্যেই বাস আবার রওনা দেয় গন্তব্য়ের দিকে।
বুধবার সন্দেশখালি যেতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে গোলমালে জড়িয়ে পড়েন তাঁর দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় টাকিতে। অসুস্থ হয়ে পড়েন সুকান্ত। তার পরের দিনই শুভেন্দুর সন্দেশখালি অভিযান ঘিরে চূড়ান্ত সতর্ক পুলিশ। ধামাখালির রামপুরের পর থেকেই জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। কার্যত দুর্গে পরিণত হয়েছে গোটা এলাকা। প্রথমে জানা গিয়েছিল, বিজেপির সমস্ত বিধায়কদের নিয়ে শুভেন্দু সন্দেশখালি যাবেন বৃহস্পতিবার। কিন্তু ১৪৪ ধারা জারির প্রেক্ষিতে পরিকল্পনা বদল করেন শুভেন্দু। তিনি সঙ্গে নেন মাত্র তিন বিজেপি বিধায়ককে। মোট চার বিধায়ককে কি সন্দেশখালিতে ঢুকতে দেবে পুলিশ? তা ভবিষ্যৎই বলবে। একই প্রশ্ন করা হয়েছিল শুভেন্দুকেও। বিধানসভার সামনে বাসে ওঠার মুখে তিনি জানান, তাঁদের যদি সন্দেশখালির পথে পুলিশ বাধা দেয়, তা হলে তিনি আদালতের দ্বারস্থ হবেন। শুভেন্দুর দাবি, ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে বলেই সমস্ত বিধায়কের বদলে তাঁরা মাত্র চার জন বিধায়ক মিলে যাচ্ছেন সন্দেশখালি। তা-ও যদি তাঁদের বাধা দেওয়া হয়, তা হলে আদালতে যাবেন তিনি।