কিছু দিন ধরে কেমোথেরাপির চিকিৎসায় জালিয়াতি নজরে আসছিল স্বাস্থ্যকর্তাদের। প্রতীকী ছবি।
সরকারের তরফে বার বার হুঁশিয়ারি এবং কিছু কিছু কড়া ব্যবস্থাগ্রহণ সত্ত্বেও এক শ্রেণির বেসরকারি হাসপাতাল বা নার্সিংহোমে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের বিলে নানা ভাবে কারচুপির অভিযোগ উঠছে। স্বাস্থ্য শিবির সূত্রের খবর, কিছু দিন ধরে কেমোথেরাপির চিকিৎসায় জালিয়াতি নজরে আসছিল স্বাস্থ্যকর্তাদের। তাই কোন স্তরের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে কেমোথেরাপির খরচ পাওয়া যাবে, মঙ্গলবার একটি নির্দেশিকা জারি করে জানিয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার। চোখের চিকিৎসাতেও বেশ কয়েকটি ইঞ্জেকশনের খরচের ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য ভবন সূত্রের দাবি, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে ক্যানসারের চিকিৎসায় কেমোথেরাপির ওষুধ পাওয়ায় প্রচুর গরিব রোগী উপকৃত হচ্ছেন। কিন্তু ক্যানসারের চিকিৎসার কোনও ব্যবস্থা না-থাকা সত্ত্বেও ছোট ও মাঝারি মাপের বেশ কিছু নার্সিংহোম সমানে কেমোথেরাপির বিল করে চলেছে বলে খবর আসছিল স্বাস্থ্যকর্তাদের কাছে। তার পরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, কোন হাসপাতালে কেমোথেরাপির খরচ স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প থেকে মিলবে, তা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হবে। নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, যে-সব সরকারি হাসপাতালে অঙ্কোলজি বিভাগ রয়েছে, সেখানকার প্রেসক্রিপশন গ্রাহ্য হবে। আর যে-সব বেসরকারি হাসপাতালে মেডিক্যাল অঙ্কোলজি, সার্জিক্যাল অঙ্কোলজি ও রেডিয়েশন অঙ্কোলজির ব্যবস্থা একসঙ্গে রয়েছে, শুধু তারাই কেমোথেরাপিদিতে পারবে।
কেমোথেরাপির প্রতিটি পর্বের প্রেসক্রিপশন ও অন্যান্য নথি নিয়ম করে স্বাস্থ্যসাথী পোর্টালে আপলোড করতে হবে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালকে। কেমোথেরাপির চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওরাল ও ইঞ্জেকশন দুই ক্ষেত্রেই এই নিয়ম প্রযোজ্য বলে জানাচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্তারা। এক কর্তা বলেন, ‘‘অনেক হাসপাতালে ক্যানসার বিভাগ না-থাকা সত্ত্বেও রোগীর নামে কোমোথেরাপির মোটা অঙ্কের বিল জমা পড়ছে। যেটাকে ভুয়ো বিলও বলা চলে। এই ধরনের বেশ কয়েকটি হাসপাতালকে চিহ্নিত করা হয়েছে।’’