তিন জেলার তালিকা প্রকাশ রাজ্য সরকারের ওয়েবসাইটে। ফাইল চিত্র
পুজোর পর থেকেই করোনা নিয়ে আশঙ্কা বাড়ছে রাজ্যে। ওয়াকিবহাল মহলের বক্তব্য, উৎসবের সময় বিধি নিষেধ উপেক্ষা করে লাগামছাড়া ভিড়ের কারণেই নতুন করে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। কলকাতা-সহ রাজ্যের অনেক জেলার ছবি নিয়েই কপালে ভাঁজ পড়ছে প্রশাসনিক কর্তাদের। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর জেলায় জেলায় ১৫০টির বেশি এলাকায় কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করেছে।
করোনা সংক্রমণের নতুন ঢেউ এসে না গেলেও রাজ্যে ধীরে ধীরে বাড়ছে করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা। হাসপাতালগুলিতেও বৃদ্ধি পাচ্ছে রোগী ভর্তি। অথচ পুজোর আগে চিত্রটা ছিল অন্য রকম। সেই সময়ে যেখানে রাজ্য জুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৫০০-র আশপাশে ছিল, এখন সেটাই হয়েছে প্রায় দ্বিগুণ। এ সব দেখে চিকিৎসক ও সংক্রমণ বিশেষজ্ঞদের একাংশের আশঙ্কা, উৎসবমুখর বাঙালিকে এ বার ভিড়ের মূল্য চোকাতে হবে!
সম্প্রতি করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে এমন জেলার জেলাশাসকদের নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। এর পরেই ওয়ার্ড ভিত্তিক কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছে। তিন জেলার তালিকা দেওয়া হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ওয়েবসাইটে (wb.gov.in)। তবে এর বাইরেও হগলি, মুর্শিদাবাদ-সহ আরও কয়েকটি জেলার কিছু কিছু এলাকায় কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
উত্তর ২৪ পরগনায় ৫১টি কনটেনমেন্ট জোন
হাওড়ায় কনটেনমেন্ট জোন ১৪টি এলাকায়
জলপাইগুড়ি জেলায় ৯টি জায়গায় কনটেনমেন্ট জোন