ভাটিবাড়ির বিদ্যাসাগর শিশু নিকেতনের মাঠে তখনও উড়ছে জাতীয় পতাকা। (ইনসেটে) প্রধান শিক্ষক লক্ষ্মণ দাস। ছবি: হিতৈষী দেবনাথ।
স্কুলে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে ভাষণ দেওয়ার সময় অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। হাসপাতালে ডাক্তারেরা মৃত ঘোষণা করলেন প্রধান শিক্ষক লক্ষ্মণ দাসকে (৫৫)। সোমবার, আলিপুরদুয়ার ২ ব্লকের ভাটিবাড়ি এলাকার বিদ্যাসাগর শিশু নিকেতনের ঘটনা।
স্কুল এবং পরিবার সূত্রে খবর, লক্ষ্মণ আলিপুরদুয়ার ২ ব্লকে শিক্ষা-বন্ধুর কাজেও যুক্ত ছিলেন। তিনি বেশ কিছু দিন ধরে হৃদ্রোগে ভুগছিলেন। তাই চিকিৎসকেরা তাঁকে কম কথা বলার পরামর্শ দিয়েছিলেন। রবিবার রাতে, পরিবারের সদস্যদের কথায় কার্যত গুরুত্ব না দিয়ে স্কুলে স্বাধীনতা দিবস পালনের বিভিন্ন কাজ করতে গিয়েছিলেন লক্ষ্মণ। সোমবার সকালে ভাটিবাড়ি এলাকার বাড়ি থেকে স্কুটারে চেপে স্কুলে এসে কিছুটা অসুস্থ বোধ করেন। কিন্তু বাড়ি গিয়ে ওষুধ খেয়ে ফের স্কুলে এসে স্বাধীনতা দিবসের শোভাযাত্রায় যোগ দেন। শোভাযাত্রা শেষে, স্কুলে পতাকা উত্তোলন করা হয়। এর পরেই ভাযণ দেওয়ার সময়ে হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন লক্ষ্মণ। এলাকার বাসিন্দা ও স্কুলের সহকর্মীরা তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে, চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন।
ওই স্কুলের শিক্ষিকা পিঙ্কি দাস বলেন, ‘‘মাস্টারমশাই সকালে অসুস্থ বোধ করার পরেও, ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে শোভাযাত্রায় হাঁটেন। গুরুত্বপূর্ণ এই দিনটির বিষয়ে কথা বলছিলেন। তার পরেই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন।’’ লক্ষ্মণের স্ত্রী শিবানী দাস বলেন, ‘‘ওঁর হৃদ্যন্ত্রের সমস্যা ছিল। ডাক্তারেরা কম কথা বলতে এবং বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন। রবিবার রাত ১২টা পর্যন্ত স্কুলের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানের জন্য লেখালেখি করেন। ধকল সহ্য করতে পারলেন না।’’