—প্রতীকী ছবি।
লোকসভা ভোটের সময়ে তাদের দলকে সমর্থন করায় বহরমপুর পুরসভার কিছু কর্মীর বেতন আটকে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিল কংগ্রেস। বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ও বহরমপুরের প্রাক্তন সাংসদ অধীর চৌধুরী। বহরমপুরের তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত পুরসভার প্রধান নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায় হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, যাঁদের বেতন আটকানো হয়ছে, তাঁরা আদালতে যেতে পারেন। শেষ পর্যন্ত কলকাতা হাই কোর্টের হস্তক্ষেপেই ওই কর্মীদের বেতনের জট খুলল। পুরসভা কর্তৃপক্ষের ‘প্রতিহিংসামূলক পদক্ষেপে’র বিরুদ্ধে হাই কোর্টে আবেদন করেছিলেন সংশ্লিষ্ট কর্মীরা। আইনজীবী রবিউল ইসলামের দাবি, হাই কোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দ নির্দেশ দিয়েছেন, ৭ দিনের মধ্যে পুরসভাকে বকেয়া বেতন মিটিয়ে দিতে হবে। পুরসভা অবশ্য আগেই জানিয়েছে, ভোটে কে কোন দলের কাজ করছেন, তার জন্য বেতন আটকানো হয়নি। যাঁরা ঠিকমতো কাজ করছেন না, তাঁদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। হাই কোর্টের নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর। তাঁর বক্তব্য, ভোটে জিতে যাওয়ার পরে সাধারণ মানুষের উপরে শাসক দলের এমন ‘প্রতিহিংসা’ বাংলাতেই দেখা যায়! পুর-প্রধান জানিয়েছেন, আদালতের নির্দেশ হাতে পেলে তাঁরা উচ্চতর বেঞ্চে যেতে পারেন।