নিয়োগ মামলায় ধৃত প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
নিয়োগ মামলায় ধৃত রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আংটিকাণ্ডে প্রেসিডেন্সি জেলের সুপার দেবাশিস চক্রবর্তীকে তলব করল হেস্টিংস থানার পুলিশ। আদালতের নির্দেশে তাঁর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিল কারা দফতর। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই সুপারকে তলব করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ রয়েছে।
নিয়োগ মামলায় পার্থ গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে জেলবন্দি। তাঁকে প্রেসিডেন্সি জেলে রাখা হয়েছে। অভিযোগ, জেলের নিয়ম ভেঙে পার্থ দীর্ঘ ৯ মাস আংটি পরে ছিলেন। পরে এই নিয়ে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ইডি। এই মামলায় আগে বিচারভবনে গিয়ে হাজিরা দিয়েছিলেন জেলসুপার দেবাশিস। এ বার তাঁকে হেস্টিংস থানায় হাজিরা দিতে হবে। এ ব্যাপারে দেবাশিস বলেন, ‘‘আদালতের নির্দেশ শিরোধার্য।’’
পার্থের আংটিকাণ্ডে জেলসুপারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সেই নির্দেশকেই মান্যতা দিয়ে ডিআইজি কারার তরফে গত ২৭ জুন দেবাশিসের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ দায়ের করা হয়। কারা কর্তৃপক্ষের তরফে চিকিৎসকের বয়ানও নেওয়া হয়েছিল। কারেকশনাল সার্ভিস অ্যাক্টের ৮৩ নম্বর ধারায় জেলসুপারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে কারা দফতর।
জেলের মধ্যেও কেন আংটি পরে ছিলেন পার্থ? আদালতে তিনি দাবি করেন, স্বাস্থ্যের কারণেই ওই আংটি তাঁকে পরতে হয়েছিল। জেলে যে আংটি পরার নিয়ম নেই, তা-ও তাঁকে কেউ বলেননি, দাবি ছিল রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর।
এই মামলায় আদালতে ইডির আইনজীবী জানিয়েছিলেন, ‘জেল কোড’ অনুসারে সংশোধনাগারে কোনও অলঙ্কার পরা যায় না। পার্থ সেই নিয়ম ভঙ্গ করেছেন। এর পরেই জেলসুপারকে ডেকে পাঠায় আদালত। কেন পার্থ জেলে থাকা অবস্থাতেও হাতে আংটি পরে ছিলেন, তা সবিস্তারে লিখিত আকারে নিয়ে আসার নির্দেশ দেওয়া হয়। দেবাশিস আদালতে জানিয়েছিলেন, পার্থের আঙুল ফুলে থাকার কারণে তাঁর আংটি খোলা যায়নি। জেল সুপারের দেওয়া জবাবে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল আদালত। সেই মামলাতেই এ বার হেস্টিংস থানায় হাজিরা দিতে হবে প্রেসিডেন্সির জেলসুপারকে।