অয়ন মণ্ডল। ফাইল চিত্র।
হরিদেবপুরের যুবক অয়ন মণ্ডলের খুনের ঘটনায় এ বার সামনে এসেছে এক সালিশি সভার তথ্য। পুলিশ সূত্রের দাবি, বান্ধবী এবং বান্ধবীর মায়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ছবি নিয়ে ব্ল্যাকমেল করতেন অয়ন। তা জানতে পারেন বান্ধবীর বাবা। তার পরেই এলাকায় একটি সালিশি সভা বসানো হয়েছিল। সেখানে কী হয়েছিল, কারা উপস্থিত ছিলেন সে ব্যাপারে খোঁজ করছেন তদন্তকারীরা। পুলিশে অভিযোগ না-জানিয়ে কার পরামর্শে ওই সভা হয়েছিল তারও খোঁজ চলছে।
পুলিশ সূত্রের দাবি, ধৃতদের জেরায় নতুন নতুন তথ্য মিলছে। তাতে বিষয়টি জটিলও হয়ে উঠছে। খুনের কারণ সন্ধানে তাই সব দিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মোটামুটি ভাবে আন্দাজ করতে পারলেও ঠিক কোন কারণে খুন, তা এখনও স্পষ্ট নয় বলেই তদন্তকারীদের একাংশের দাবি।
দশমীর রাতে বান্ধবীর বাড়িতে গিয়ে নিখোঁজ হন অয়ন (২১)। দ্বাদশীর সকালে মগরাহাটে তাঁর দেহ শনাক্ত করা হয়। পুলিশের দাবি, একাদশীর সকালেই মগরাহাটের একটি খাল থেকে অয়নের দেহ উদ্ধার হয়েছিল। তদন্তে নেমে হরিদেবপুর থানা অয়নের বান্ধবী, তাঁর বাবা, মা, নাবালক ভাই-সহ ৭ জনকে গ্রেফতার করে।
পুলিশের আরও দাবি, মাথার পিছনে আঘাত করে অয়নকে খুন করা হয়। পরে ভাড়ার গাড়িতে চাপিয়ে দেহ মগরাহাটে ফেলে আসা হয়েছিল। সেই তদন্তেই সামনে এসেছে, বান্ধবী এবং তাঁর মা, উভয়ের সঙ্গেই সম্পর্ক ছিল অয়নের। মোবাইলে দু’জনের সঙ্গেই ঘনিষ্ঠ ছবি এবং ভিডিয়ো ছিল। তবে অয়নের মোবাইল এখনও না-মেলায় সেই ছবি বা ভিডিয়োর তথ্য পুলিশের হাতে আসেনি বলেই খবর।