মিছিলে বিভিন্ন আকারের তলোয়ার, টাঙ্গি, ভোজালির মতো অস্ত্র দেখতে পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। প্রতীকী ছবি।
প্রশাসন জানিয়েছিল, হনুমান জয়ন্তীর শোভাযাত্রায় অস্ত্র রাখা এবং ডিজে বাজানো চলবে না। হুগলির বাঁশবেড়িয়ায় বৃহস্পতিবার দুইয়েরই অভিযোগ উঠল। মিছিলে বিভিন্ন আকারের তলোয়ার, টাঙ্গি, ভোজালির মতো অস্ত্র দেখতে পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। এলাকায় এ দিন পুলিশ ছাড়াও মোতায়েন ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। স্থানীয়দের একাংশের প্রশ্ন, ডিজে-অস্ত্র নিয়ে প্রশাসনের কড়া মনোভাবের পরেও এখানে মিছিলকারীরা সাহস পেলেন কোথা থেকে? পুলিশ-প্রশাসনের পাল্টা দাবি, প্রচুর অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। যদিও তারা সঠিক পরিমাণ জানায়নি। হুগলি গ্রামীণ জেলা পুলিশ সুপার আমনদীপ বলেন, ‘‘মিছিল চলাকালীন বেশ কিছু অস্ত্র, কয়েকটি ডিজে বক্স বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। যাঁরা নিয়ম মানেননি, তাঁদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ আদালতের নির্দেশের কথা বলে স্থানীয় বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কে মিছিলে যেতে দেয়নি পুলিশ।
দুপুরে বাঁশবেড়িয়ার কলবাজারে হনুমান মন্দিরের সামনে থেকে শুরু হওয়া শোভাযাত্রায় যোগ দেয় ১৭টি কমিটি। তার আগে আধাসেনা রুটমার্চ করে। অভিযোগ, একাধিক মিছিলে দু’শোর বেশি লোক ছিলেন। প্রত্যেকটি কমিটিই ডিজে বাজিয়েছে। হাতে অস্ত্র ছিল বলেও অভিযোগ।
মিছিলে আসার পথে শহরের বোড়োপাড়া মোড়ে লকেটের পথ আটকায় পুলিশ। দলীয় কর্মীদের নিয়ে রাস্তায় বসে পড়েন সাংসদ। লকেটের ক্ষোভ, ‘‘আমি হুগলির ১৬ লক্ষ মানুষের প্রতিনিধি। আমাকেই বহিরাগত তকমা দিয়ে মিছিলে যেতে দেওয়া হল না।’’ ডিএসপি (স্পেশাল ব্রাঞ্চ) নিমাই চৌধুরী বলেন, ‘‘আদালতের নির্দেশ মানতেই রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিকে আটকানো হয়েছে।’’