পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র ।
হাঁসখালি ধর্ষণ-কাণ্ডে রাণাঘাট সাংগঠনিক জেলার সভাপতিকে ফোন করে রিপোর্ট তলব করলেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। হাঁসখালিতে ঠিক কী হয়েছিল এবং স্থানীয় দলীয় নেতাদের এই ঘটনায় কী ভূমিকা রয়েছে তা জানতে চেয়েই জেলা সভাপতিকে ফোন করেন পার্থ।
এই প্রসঙ্গে পার্থ বলেন, ‘‘আমি জেলা সভাপতি রত্না কর ঘোষকে ফোন করেছিলাম। ফোন করে আমি তাঁকে বলেছি যে, ঘটনাটির পুঙ্খানুপুঙ্খ আমাকে জানাতে।’’
হাঁসখালি-কাণ্ড নিয়ে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় হয়ে গেলেও এই প্রসঙ্গে এত দিন মুখ খুলতে দেখা যায়নি তৃণমূলের কোনও শীর্ষ নেতৃত্বকে। কেবলমাত্র জেলাস্তরের দলীয় নেতাদেরই এই বিষয়ে মুখ খুলতে দেখা গিয়েছিল। তবে দলীয় সূত্রের খবর, এই প্রথম কোনও তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব বিস্তারিত জানতে চেয়ে স্থানীয় নেতৃত্বকে ফোন করলেন।
পাশাপাশি স্থানীয় নেতাদের নিয়ে দলীয় স্তরে তদন্ত শুরু হয়েছে বলেও দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, সোমবার হাঁসখালি ধর্ষণ-কাণ্ডে কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল। জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন আইনজীবী সুস্মিতা সাহা দত্ত। মামলাটির দ্রুত শুনানির জন্য আর্জি জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
সোমবার সকালেই হাঁসখালি-কাণ্ডে গাজনা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য সমর গয়ালির ভাগ্নে দিবাকরকে আটক করেও পরে ছেড়ে দেয় পুলিশ। তবে সমরের ছেলে তথা ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত ব্রজগোপাল গয়ালি গ্রেফতারের পর থেকে পুলিশের হেফাজতেই রয়েছে।