হাঁসখালি-কাণ্ড এ বার হাই কোর্টে। ফাইল ছবি।
হাঁসখালি ধর্ষণ কাণ্ডে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য সমরেন্দ্র গোয়ালীর ছেলে অভিযুক্ত সোহেল গয়ালী ওরফে ব্রজগোপাল গয়ালী কে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিল রানাঘাট বিচার বিভাগীয় আদালত।
হাঁসখালি ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপি মহিলা মোর্চা সভানেত্রীর নেতৃত্বে সাত সদস্যের প্রতিনিধিদল পৌঁছল গ্রামে। তাঁরা থানায় তদন্তকারী অফিসারের সঙ্গে কথা বলতে যাবেন বলে খবর।
হাঁসখালি ধর্ষণ-কাণ্ডে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল কলকাতা হাই কোর্টে। জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন আইনজীবী সুস্মিতা সাহা দত্ত। মামলাটির দ্রুত শুনানির জন্য আর্জি জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
হাঁসখালি-কাণ্ডে তৃণমূল নেতা সমরের ভাগ্নে দিবাকরকে আটক করেও পরে তাঁকে ছেড়ে দিল পুলিশ।
হাঁসখালির ঘটনার প্রতিবাদে মৌন মিছিল বের করছে বিজেপি। অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি জানিয়ে এই মিছিলের ডাক বিজেপির। নেতৃত্বে থাকছেন স্থানীয় বিধায়ক আশিস বিশ্বাস। অন্য দিকে, এই ঘটনায় তৃণমূলের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে জেলা তৃণমূল সভানেত্রী রত্না ঘোষ কর জানান, পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। তাঁরা এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করবেন না। দোষীদের শাস্তি হোক তৃণমূলও চায়।
নাবালিকা প্রেমিকাকে জন্মদিনের পার্টিতে ডেকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে তৃণমূল নেতার ছেলের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, অত্যধিক রক্তপাতে ওই নাবালিকার মৃত্যুও হয় বলে পরিবারের দাবি। এমনকি রাতারাতি ওই নাবালিকার দেহ জোর করে দাহ করানোর অভিযোগও উঠেছে ওই তৃণমূল নেতার ছেলের বিরুদ্ধে। গত সোমবার এই ঘটনা ঘটেছে নদিয়ার হাঁসখালি এক নম্বর ব্লকের গাজনা গ্রাম পঞ্চায়েতের শ্যামনগর এলাকায়। তা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে যায়। অভিযোগ উঠছে, গাজনা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য সমর গয়ালির ছেলে ব্রজগোপালের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, গত সোমবার ব্রজগোপালের জন্মদিনের পার্টি ছিল। সেখানে আমন্ত্রণ জানানো হয় বগুলার বাসিন্দা ওই নাবালিকাকে।
পরিবারের দাবি, ধর্ষণের জেরে অত্যধিক রক্তপাতে ওই কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার স্থানীয় শ্মশানে দাহ করা হয় ওই নির্যাতিতা কিশোরীর দেহ। ওই দাহকার্যে যে শ্মশানকর্মী যোগ দিয়েছিলেন ঘটনার পর থেকে তাঁর আর খোঁজ মিলছে না। পুলিশও তাঁর সন্ধান করছেন।
হাঁসখালি ধর্ষণ-কাণ্ডে উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। কেরোসিন ঢেলে দাহ করা হয়েছিল নির্যাতিতার দেহ। পাশাপাশি প্রমাণ লোপাট করার চেষ্টাও করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। বগুলার বাসিন্দা ওই নাবালিকার পরিবারের দাবি, গত সোমবার বিকেলে হাঁসখালি এক নম্বর ব্লকের গাজনা গ্রাম পঞ্চায়েতের শ্যামনগর এলাকার বাসিন্দা তৃণমূল নেতা সমর গয়ালির বাড়িতে তাঁর ছেলে ব্রজগোপালের জন্মদিনের পার্টিতে যোগ দিতে গিয়েছিল সে। সেখান থেকে ‘অসুস্থ’ হয়ে ফেরে সে। এর পর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ভোরবেলা তার মৃত্যু হয়।