হলদিয়া বন্দরের নতুন টার্মিনাল। নিজস্ব চিত্র
নতুন বছরের গোড়াতেই মাল্টি মোডাল টার্মিনাল পেল হলদিয়া বন্দর। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দিল্লি থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে সেটির উদ্বোধন করেন। আর সেই উপলক্ষে হলদিয়া বন্দরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। এসেছিলেন স্থানীয় তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীও।
হলদিয়ার পাতিখালিতে হুগলি নদী সংলগ্ন ‘ইনল্যান্ড ওয়াটার ওয়েজ় অথরিটি অব ইন্ডিয়ার’ ওই মাল্টি মোডাল টার্মিনালটি বানানো হয়েছে। বন্দর সূত্রের খবর, নয়া ওই টার্মিনাল থেকে বছরে প্রায় ৩.০৭ মেট্রিক টন পণ্য রফতানির লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে। তবে মূলত এই টার্মিনালের মাধ্যমে বাংলাদেশের ছাই রফতানি করা হবে। বর্তমানে একটি অস্থায়ী টার্মিনাল থেকে ওই ছাই রফতানি করা হয়। নতুন টার্মিনালটিতে ছাই বোঝাই গাড়ি থেকে সরাসরি বর্জ্য বোঝাই করা হবে। পরিবেশের দিকে নজর রেখেই এই প্রযুক্তিকে ব্যবহার করা হয়েছে। পণ্য বোঝাই জাহাজগুলি ভারত-বাংলাদেশ প্রোটোকল রুট দিয়ে যাতায়াত করবে। শীঘ্রই নতুন মাল্টি মোডাল টার্মিনাল থেকে ছাই বাংলাদেশে রফতানি শুরু হবে বলে বন্দর সূত্রে খবর।
এ দিন হলদিয়া বন্দরের প্রশাসনিক ভবন জহর টাওয়ার সংলগ্ন বন্দরের বৈদ্যুতিক সাব-স্টেশনেরও উদ্বোধন করেন জাহাজ প্রতিমন্ত্রী। অনুষ্ঠান শেষে দুপুরে বন্দর কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকও করেন তিনি। পরে শান্তনু বলেন, ‘‘ভারত-বাংলাদেশ জলপথে হলদিয়ার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ভবিষ্যতে বন্দরের আরও উন্নতি হবে।’’
অনুষ্ঠানে শান্তনু, দিব্যেন্দু ছাড়াও হলদিয়ার বিজেপি বিধায়ক তাপসী মণ্ডল, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বন্দরের চেয়ারম্যান পি এল হরনাদ, ‘ইনল্যান্ড ওয়াটার ওয়েজ়ে’-এর আধিকারিকেরাও ছিলেন। অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে দিব্যেন্দু হলদিয়া বন্দরের নাম তমলুকের প্রথম সাংসদ সতীশচন্দ্র সামন্তের নামে করার প্রস্তাব দিয়েছেন।