বিমল গুরুঙ্গ। —ফাইল চিত্র
এ বার থেকে কলকাতা হাইকোর্টের মূল বেঞ্চে বিমল গুরুংয়ের আগাম জামিনের আবেদনের শুনানি হবে। শুক্রবার আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, পুজোর ছুটির পরে হাইকোর্ট খুললে এক সপ্তাহের মধ্যে শুরু হবে শুনানি।
লোকসভা ভোটের আগে হাইকোর্টের জলপাইগুড়ির সার্কিট বেঞ্চে বিমল গুরুং এবং রোশন গিরি দু’জনে প্রায় ১৩০টি মামলায় আগাম জামিনের আবেদন করেছিলেন। সেখানেই শুনানি চলছিল। গত সেপ্টেম্বরে গুরুংদের আইনজীবীরা মামলাগুলিকে কলকাতায় হাইকোর্টের মূল বেঞ্চে নিয়ে যাওয়ার আবেদন করেছিলেন। প্রধান বিচারপতি তাতে সম্মতি দিয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি মনোজিত মণ্ডলের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাগুলির শুনানি চলবে। শেষবার জলপাইগুড়ির সার্কিটে এই ডিভিশন বেঞ্চেই শুনানি হয়েছিল।
গত লোকসভা ভোটে অংশ নিতে চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন গুরুংরা। সেই সময় সুপ্রিম কোর্ট জানায়, হাইকোর্ট বা
জেলা আদালতে প্রথম আগাম জামিনের আবেদন করতে হয়। হাইকোর্টে আবেদন করার জন্য গুরুংদের চারদিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। গত এপ্রিলে সেই রায়ের পরে জলপাইগুড়ি সার্কিটে আগাম জামিনের আবেদন করা হয়। তারপর থেকে সেখানেই শুনানি চলছিল। তারমধ্যে লোকসভা ভোট, দার্জিলিং বিধানসভা উপনির্বাচন সবই হয়ে গিয়েছে। গুরুংদের আইনজীবীদের দাবি, জলপাইগুড়ি সার্কিটে নিয়মিত শুনানি হলেও একেক বার একেক ডিভিশন বেঞ্চে হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী জলপাইগুড়ি সার্কিটে প্রতি মাসে ১৫ দিন করে বেঞ্চ বসে। প্রতিমাসে বেঞ্চ বদলে যায়।
গুরুংদের মূল আইনজীবী উর্গেন লামার কথায়, “প্রতিটি বেঞ্চে শুরু থেকে মামলা বলতে হয়েছে। একটি নির্দিষ্ট বেঞ্চে মামলা চললে দ্রুত নিষ্পত্তি সম্ভব।” হাইকোর্ট সূত্রের খবর, বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর নেতৃত্বে থাকা ডিভিশন বেঞ্চেই কলকাতায় টানা শুনানি হবে।
গুরুংয়ের আবেদনের শুনানিতে সরকারের তরফে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত উপস্থিত থাকতেন। নিয়মিত আসতেন কলকাতা হাইকোর্টের রাজ্যের সরকারি আইনজীবী শ্বাশতগোপাল মুখোপাধ্যায়ও। দু’জনেই টানা জলপাইগুড়িতে থাকলে কলকাতার মূল বেঞ্চে থাকা অনেক মামলার শুনানি পিছিয়ে যেত। কাজেই রাজ্যের তরফেও গুরুং মামলা সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার আবেদনে কোনও আপত্তি করা হয়নি।
যদিও হাইকোর্ট সূত্রের খবর, এই সিদ্ধান্ত শুধুমাত্র চলতে থাকা মামলাগুলির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। গুরুং সম্পর্কিত নতুন কোনও মামলা দাখিল হলে সেটি জলপাইগুড়ি সার্কিটেই শুনানি হতে পারে বলে খবর।