ফাইল চিত্র।
গত বছরের আমপানের ক্ষত এখনও দগদগে। এরই মধ্যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে, আগামী বুধবার নাগাদ সুন্দরবনে প্রভাব পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের। এই পরিস্থিতিতে তাই আগে থেকেই সমস্ত রকম প্রস্তুতি নিতে চলেছে রাজ্য সরকার। ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী পরিস্থিতিতে কী ভাবে মোকাবিলা করা হবে, সে ব্যাপারে রাজ্যের সমস্ত জেলা প্রশাসনের জন্য আগেই নির্দেশিকা জারি করেছে নবান্ন। ওই এলাকায় মানুষের জন্য ত্রাণ শিবিরে কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে, সে বিষয়ে এ বার সুন্দরবন সংরক্ষিত বনাঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের জন্য নির্দেশিকা দিলেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের প্রধান মুখ্য বনপাল ভি কে যাদব।
নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ক্যানিং এবং নামখানায় যে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে, সেখান থেকে সর্ব ক্ষণ নজরদারি চালানো হবে গোটা পরিস্থিতির উপর। সমস্ত ত্রাণ শিবিরগুলির সঙ্গে যোগাযোগের কাজ করবে ওই কন্ট্রোল রুম। যে সব আধিকারিকেরা পরিস্থিতি মোকাবিলার দায়িত্বে থাকবেন, তাঁদের প্রত্যেকের নম্বর যেন প্রত্যেকটি ত্রাণ শিবিরে পৌঁছে দেওয়া হয়। যাতে প্রয়োজনে সহজেই তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন সাধারণ মানুষ। পাশাপাশি বনকর্মীদেরও জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রেঞ্জ অফিসারদেরও স্থানীয় বিডিও অফিসের সঙ্গে যোগযোগ রাখতে বলা হয়েছে।
ত্রাণ শিবিরে কী কী প্রয়োজনীয় সামগ্রী মজুত রাখতে হবে, তা-ও জানিয়েছেন মুখ্য বন-পর্যবেক্ষক। পর্যাপ্ত পরিমাণে রেশন সামগ্রী থেকে শুরু করে ওষুধ ও মেডিক্যাল কিট, পর্যাপ্ত পানীয় জলের ব্যবস্থা, টর্চ, ব্যাটারি, মোবাইল, চার্জার, রান্নার জন্য কেরোসিন। এছাড়া নিরাপদ জায়গায় যেন নৌকা এবং স্পিড বোট রেখে দেওয়া হয়, যাতে উদ্ধারকার্যের যাতায়াতও করা যায়। স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সুরক্ষা বিধি মেনেই সমস্ত পদক্ষেপ করতে হবে এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগে থাকতে হবে।