বামফ্রন্ট চেয়ারম্যা বিমান বসু ও রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। নিজস্ব চিত্র।
এবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের ভুমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। রাজ্যপাল নিজেকে বিজেপি-র লোক হিসেবে প্রতিপন্ন করেছেন, এমনটাই অভিযোগ করলেন বর্ষীয়ান বামফ্রন্ট নেতা। বুধবার আলিমুদ্দিন ষ্ট্রিটের সাংবাদিক বৈঠকে এক প্রশ্নের জবাবে বিমান বলেন, ‘‘রাজ্যপাল যেভাবে চলছেন তা ঠিক নয়। রাজ্যপাল তাঁর সাংবিধানিক সীমা লঙ্ঘন করে কাজ করছেন। তিনি এর আগে উত্তরবঙ্গে গেলেন। সব জায়গায় বিজেপি নেতাদের সঙ্গে নিয়েই ঘুরছেন। এটা তো ঠিক না। তিনি নিজে কোথাও যেতেই পারেন। কিন্তু বিজেপি নেতাদের সঙ্গে নিয়ে যাবেন কেন?’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘রাজ্যপাল তো বিজেপি-র কেউ নন। কিন্তু তাঁর কর্মকাণ্ড প্রমাণ করে দিচ্ছে তিনি বিজেপি। এটা রাজ্যপালের ভুমিকা হতে পারে না।’’
সোমবার বিজেপি-র পরিষদীয় দল রাজভবনে প্রতিবাদপত্র দিতে যায়। সেখানেই বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন তিনি। এ প্রসঙ্গে বিমান বলেন, ‘‘রাজ্যপাল বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন। আর রাজ্যপাল একটি নির্দিষ্ট সংখ্যা বলে দিয়ে ছিলেন। ৫ থেকে ৬ জনের অনুমতি ছিল। অথচ কতজন গিয়েছিলেন সবাই দেখেছে। তিনি বারন্দায় বসে সভা করছেন। বারন্দায় বসে রাজ্যপাল সভা করেছেন, এমন তো আমি কখনও দেখিনি। কখনও এমনটা হয়নি। তিনি নিজেকে বিজেপি-র প্রতিনিধি হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।’’ বামফ্রন্ট প্রতিনিধিদের রাজভবন যাওয়ার সঙ্গে বিজেপি কর্মসূচির তুলনা টেনে বিমানের প্রশ্ন, ‘‘আমরা যখন রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে যাই, তখন রাজভবন থেকে যত সংখ্যা বলে দেওয়া হয় ততজনই থাকেন। কিন্তু এটা কী করে হল?’’
রাজভবন বনাম নবান্ন যুদ্ধে মন্ত্রিসভার সদস্যদের বাক সংযম রাখতে পরামর্শ দিয়েছেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান। তাঁর কথায়, ‘‘কারও ডেকোরাম ব্রেক করে কথা বলা উচিত নয়। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে যেমন বলা উচিত নয়, তেমনই রাজ্যপালের পক্ষ থেকেও বলা উচিত নয়। রাজ্য সরকারে যাঁরা মন্ত্রী তাঁরা নির্বাচিত প্রতিনিধি। রাজ্যপাল কিন্তু নির্বাচিত নন। তিনি ভারত সরকার দ্বারা মনোনীত। কাজেই দুটো এক জিনিস নয়। তবে শব্দ ব্যবহার করার ক্ষেত্রে, বাক্য ব্যবহার করার ক্ষেত্রে উভয়েরই মাত্রা রক্ষা করা উচিত। ’’