দুপুর ২টোয় স্পিকার রাজভবনে যান। সেখানেই রাজ্যপালের সঙ্গে দীর্ঘ এক ঘণ্টা বৈঠক হয় তাঁর। বৈঠক শেষে রাজ্যপাল টুইট করে সেই বৈঠকের খবরও জানিয়ে দেন। সঙ্গে বৈঠকের দু'টি ছবি ও একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন টুইটারে। তাতে লেখা হয়, 'স্পিকারের সঙ্গে এক ঘণ্টা আসন্ন অধিবেশন নিয়ে আলোচনা হয়েছে।' তবে বাজেট বক্তৃতার সম্প্রচার নিয়ে একটি শব্দও লেখেননি তিনি।
রবিবার দুপুরে রাজভবনে রাজ্য়পাল - স্পিকার বৈঠক। টুইটার থেকে নেওয়া ছবি।
বিধানসভায় তাঁর বাজেট বক্তৃতা সম্প্রচারের দাবিতে ফের সরব হয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। কিন্তু সেই বিষয়ে সোমবার বিধানসভা অধিবেশনের প্রথম দিনের পরিস্থিতি বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নেবেন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার সকালে টুইট করে রাজ্যপাল জানান, বিধানসভার আসন্ন বাজেট অধিবেশন নিয়ে আলোচনা করতে দুপুর দুটোয় স্পিকারকে রাজভবনে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। অধিবেশনের উপযুক্ত পরিবেশ ও রাজ্যপালের মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখার বিষয়টি আলোচনায় আসবে বলেও ওই টুইটে জানানো হয়। সঙ্গে আরও জানানো হয়, রাজ্যপালের বাজেট বক্তৃতার সম্প্রচার এর আগেই ‘ব্ল্যাকআউট’ করা হয়েছিল।
দুপুর ২টোয় স্পিকার রাজভবনে যান। সেখানেই রাজ্যপালের সঙ্গে দীর্ঘ এক ঘণ্টা বৈঠক হয় তাঁর। বৈঠক শেষে রাজ্যপাল টুইট করে সেই বৈঠকের খবরও জানিয়ে দেন। সঙ্গে বৈঠকের দু'টি ছবি ও একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন টুইটারে। তাতে লেখা হয়, 'স্পিকারের সঙ্গে এক ঘণ্টা আসন্ন অধিবেশন নিয়ে আলোচনা হয়েছে।' তবে বাজেট বক্তৃতার সম্প্রচার নিয়ে একটি শব্দও লেখেননি তিনি।
বৈঠকে কি বক্তৃতার সম্প্রচার নিয়ে জট খুলেছে? এমন প্রশ্নের জবাবে স্পিকার বলেন, ‘‘রাজ্যপালের সঙ্গে আমার আলোচনা হয়েছে। আগামিকাল বিধানসভায় গিয়ে পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’ প্রসঙ্গত, এ বারও কোভিড বিধি মেনেই হবে বাজেট অধিবেশন। অনেক বিধায়ককেই বসতে হবে গ্যালারিতে। ফলে সংবাদমাধ্যমের বসার জন্য জায়গা সঙ্কুচিত করা হয়েছে। ২০২০ ও ২০২১ সালের বাজেট ভাষণ সম্প্রচারের দাবি করেছিলেন রাজ্যপাল। কিন্তু সেই বক্তৃতা সম্প্রচারের অনুমতি দেননি স্পিকার। বিষয়টি নিয়ে রাজভবন ও বিধানসভার মধ্যে কখনও বাকযুদ্ধ হয়েছে, কখনও আবার যুক্তি-পাল্টা যুক্তির সঙ্ঘাত চলেছে।
এ বার ফের রাজ্যপাল নিজের বাজেট বক্তৃতার সম্প্রচারের দাবিতে সরব হয়েছেন। তাঁর সেই দাবি পূরণ হয় কি না, তার উত্তর মিলবে সোমবার দুপুরে। কারণ ওই সময়েই রাজভবন থেকে বিধানসভায় আসবেন ধনখড়।