ছবি: পিটিআই।
গণপ্রহার প্রতিরোধে বিধানসভায় বিল পাশ হয়েছিল গত বছর ৩০ অগস্ট। রাজ্যপালের চূড়ান্ত সম্মতির অপেক্ষায় সেই বিল আটকে ছিল রাজভবনেই। বিধানসভা অধিবেশনের সে দিনের কার্যবিবরণী হাতে পাওয়ার পরে ফের বিরোধী বাম ও কংগ্রেসের মতামত জানতে চাইলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।
বিলের উদ্দেশ্য নিয়ে বিরোধীদের কোনও আপত্তি ছিল না কিন্তু বিতর্ক বেধেছিল অন্য প্রশ্নে। যে বিল বিধায়কদের মধ্যে বিলি করা হয়েছিল, তার সঙ্গে পরের দিন বিধানসভায় পেশ হওয়া বিলের বয়ানে ফারাক ছিল। অথচ দু’টি বিলের মেমো নম্বর এক। প্রথণ বিলে গণপ্রহারে মৃত্যু ঘটানোয় অপরাধী সাব্যস্ত হলে সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সংস্থান ছিল। পরের বিলে মৃত্যুদণ্ডের কথা বলা হয়েছিল। এই ‘বিভ্রান্তি’ নিয়ে বিরোধীদের তোলা অভিযোগ সরকার পক্ষ খারিজ করে দেওয়ার পরে রাজ্যপালের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান ও বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী। তার পরে রাজভবন থেকে বিধানসভার সচিবালয়ের কাছে ওই দিনের সভার কার্যবিবরণী চাওয়া হয়েছিল। দীর্ঘ টানাপড়েনের পরে শেষ পর্যন্ত কার্যবিবরণী পৌঁছেছে রাজভবনে। তার পরেই রাজ্যপাল ধনখড় ফের বিরোধীদের বক্তব্য জানতে চেয়েছেন।