ফাইল ছবি
এসএসসি দুর্নীতি থেকে সংবাদমাধ্যমের নজর ঘোরাতেই আচার্য বদলের ইস্যু সামনে আনা হল। রবিবার শিলিগুড়ি সফরে গিয়ে বাগডোগরা বিমানবন্দরে নেমে এমনটাই মত প্রকাশ করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।
তিনি বলেন,‘‘বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য বদলের ইস্যুটি এমন একটি সময় আনা হল যখন রাজ্যে এসএসসি দুর্নীতি নিয়ে আলোচনা চলছে। আসলে সংবাদমাধ্যমের নজরে ঘুরিয়ে দিতে কৌশলগত ভাবে এই সময় ইস্যুটিকে সামনে আনা হয়েছে।’’ তাঁর মতে আচার্য বদলের বিষয়টি নতুন নয়, ‘‘২০২১ সালেও বিষয়টি তোলা হয়েছিল।’’
রাজ্যপাল পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘‘দুর্নীতির বেলুনটা ক্রমশ বড় হচ্ছে। স্বজনপোষণ হচ্ছে। কোনও বাছাই ছাড়াই নিয়োগ করা হয়েছে। রাজ্যপালের ভূমিকা খর্ব করা হচ্ছে। এই দুর্নীতির ফলে হাজার হাজার পড়ুয়ার ভবিষ্যৎ নষ্ট হচ্ছে।’’
তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় রাজ্যপালের এই মন্তব্যকে ‘অবান্তর’ এবং ‘অপ্রাসঙ্গিক’ বলেছেন। তিনি বলেন, ‘‘ রাজ্যপালের ভূমিকা উচ্চশিক্ষায় বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ফাইলের পর ফাইল সই না করে তিনি আটকে রেখেছেন।’’
সম্প্রতি রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, রাজ্যপাল নন বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্য হবেন মুখ্যমন্ত্রী। এই নিয়ে খুব শীঘ্রই একটি বিল আনতে চলেছে সরকার।
এই বিল প্রসঙ্গেও রাজ্যপাল ইঙ্গিতবাহী প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বলেন, ‘‘বিল আগে আসুক। রাজ্যপাল কি বিলে সই করবেন? রাজ্যপাল সই না করলে কি বিলটি অর্ডিন্যান্স হবে?’’
বেসকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিজিটর পদ থেকে সরানোর জল্পনা প্রসঙ্গে তিনি তোপ দেগে বলেন, ‘‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা ইউনিয়ন তৈরি করছেন। একাধিক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আচার্য পদে শিল্পপতিরা বসে রয়েছেন। আমি তাঁদের বলতে চাই, এ সব কিছু ভাল হচ্ছে না। তাঁদের কাজকর্ম খতিয়ে দেখার জন্য কমিটি গঠন করেছি। ইউজিসি আমাকে ক্ষমতা দিয়েছে তাঁদের কাজকর্ম খতিয়ে দেখার জন্য।’’
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।