সিভি আনন্দ বোস। —ফাইল চিত্র।
স্থায়ী উপাচার্য পদের কোনও প্রার্থী সম্পর্কে তাঁর আপত্তি থাকলে, অথবা প্রার্থীকে অনুপযুক্ত মনে হলে, তাঁদের নিয়োগ করবেন না আচার্য তথা রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস— রাজভবন সূত্রে এমনই খবর।
রাজ্যের ৩৬টির মধ্যে ৩৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে সম্ভাব্য তিন প্রার্থীর মধ্যে এক জন করে প্রার্থীকে পছন্দ করে নভেম্বরের শেষ সপ্তাহেই রাজভবনে পাঠিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজভবন এখনও পর্যন্ত তিন দফায় মোট ১১ জনকে নিয়োগপত্র দিয়েছে। বুধবার তা দেওয়া হয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রণব ঘোষকে। সূত্রের খবর, কয়েক জন প্রার্থী নিয়ে রাজভবনের স্পষ্ট আপত্তি রয়েছে। এঁরা অতীতে উপাচার্য হয়েছেন। এর মধ্যে কলকাতার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদা উপাচার্য নিয়ে রাজভবন একেবারে অনড় অবস্থান নিয়েছে বলে খবর।
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বিধানসভায় এ দিন বলেন, “যে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে ওঁর সম্মতি আছে, সেগুলি উনি (রাজ্যপাল) এক সঙ্গে সই করে সরকারের কাছে পাঠিয়ে দিন। আর যেগুলিতে অসম্মতি আছে, সেগুলি সুপ্রিম কোর্টে পাঠিয়ে দিন।” মঙ্গলবারও তিনি বলেছিলেন, “একবারে সব ক’টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগে সই করা উচিত রাজ্যপালের।’’
রাজভবন সূত্রের খবর, রাজ্যপাল প্রার্থীদের ডেকে তাঁদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে আগে আলোচনা করছেন। তাঁদের কারও বিষয়ে রাজ্যপালের আপত্তি থাকলে, অথবা অনুপযুক্ত মনে হলে, রাজ্যপাল তাঁদের নিয়োগ করবেন না।
এ দিন বিধানসভায় নিজের ঘরে বসে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘আচার্যের অনধিকার হস্তক্ষেপে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির পঠনপাঠনে সাময়িক বিপর্যয় তৈরি হয়েছে। আচার্য সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অগ্রাহ্য করে উপাচার্য নিয়োগে দীর্ঘসূত্রিতা করছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ প্রক্রিয়া আরও শ্লথ হয়ে যাচ্ছে।’’