শহরে ১৪৪ ধারা জারি নিয়ে সরব রাজ্যপাল। — গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
কলকাতা পুলিশের ১৪৪ ধারা জারির ‘রুটিন’ নির্দেশিকা নিয়ে এ বার সরব রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বিবৃতিতে রাজ্যপাল জানিয়েছেন, প্রাথমিক ভাবে দেখে মনে হচ্ছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এই নির্দেশ নিয়ে মাথা ঘামাননি।
মধ্য কলকাতার একাংশে ৬০ দিনের জন্য ১৪৪ ধারার একটি নির্দেশিকার পুনর্নবীকরণ করা হয়েছে গত ২২ মে। তা নিয়ে পরে পুলিশ জানায়, কলকাতার ওই অংশে ১৪৪ ধারা জারিই থাকে। প্রতি দু’মাস অন্তর তার পুনর্নবীকরণ হয়। এর আগে চলতি বছরের ২৯ জানুয়ারি এবং তারও আগে গত বছরের ৩০ নভেম্বর, দু’মাসের জন্য কলকাতার ওই অংশে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল। জারি করা হয়েছিল তার আগেও। অর্থাৎ, কলকাতার ওই নির্দিষ্ট অংশে ১৪৪ ধারা জারি করা ‘রুটিন’ বলেই জানিয়েছে পুলিশ। এ বার সেই নির্দেশিকা নিয়ে সরব হলেন রাজ্যপাল। রাজভবনের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ১৪৪ ধারা জারির সিদ্ধান্ত নিঃসন্দেহে জনগণের স্বাধীনতাকে খর্ব করে। তাই, এই ধরনের নির্দেশ বা সিদ্ধান্ত সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ইচ্ছা মতো জারি করা যায় না। সেই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে যে, প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বর্তমান নির্দেশিকাটি জারি করার আগে ঠিক মতো মাথা ঘামাননি। কোনও ধরনের বিবেচনা বোধ রহিত হয়ে ‘রুটিন’ নির্দেশিকাটি জারি করা হয়েছে।
কলকাতার পুলিশ কমিশনারের তরফে জারি করা ওই নোটিসে বলা হয়েছে, আগামী ২৮ মে থেকে ২৬ জুলাই বৌবাজার, হেয়ার স্ট্রিট থানা এবং ট্র্যাফিক গার্ড (সদর)-এর আওতায় থাকা ধর্মতলার কেসি দাশ ক্রসিং থেকে ভিক্টোরিয়া হাউসের দিকে যাওয়ার রাস্তায় ১৪৪ ধারা জারি থাকবে। তবে ১৪৪ ধারার আওতা থেকে বাদ থাকবে বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট। ওই নোটিস অনুযায়ী, নির্ভরযোগ্য সূত্রে পুলিশ জানতে পেরেছে, শহরের ওই অংশে ‘হিংসাত্মক কর্মসূচি’ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর সেই কারণেই ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে ওই এলাকায়।