CV Ananda Bose

‘উনি একেবারে পারফেক্ট’, তাই রাজ্যপাল বোসের মেয়াদ কমিয়ে আনা হতে পারে, আশঙ্কা চিরঞ্জিতের

চিরঞ্জিতের দাবিকে অমূলক বলেই মনে করছেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, ‘‘এটা উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত। ওই বিধায়ক কেন এ সব বললেন, তা আমার জানা নেই। এ ভাবে কিছু ঠিক হয় না।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বারাসত শেষ আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৬:১৮
Share:

সিভি আনন্দ বোস এবং চিরঞ্জিত চক্রবর্তী। নিজস্ব ছবি।

মাত্র এক বছরের ব্যবধান। তার মধ্যেই রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে শাসক ও বিরোধী শিবিরের ‘মত’ বদলে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যপাল পদে সিভি আনন্দ বোস পাঁচ বছরের মেয়াদ পূর্ণ করতে পারবেন কি না, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করলেন তৃণমূল বিধায়ক চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী।

Advertisement

বাংলার রাজ্যপাল হয়ে আসার পর থেকেই আনন্দের সঙ্গে শাসকদলের নেতানেত্রীদের ‘সখ্য’ ভাল চোখে দেখেনি রাজ্য বিজেপি। রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে তাঁরা যে ‘অসন্তুষ্ট’, তা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারদের আকারে-ইঙ্গিতেই আগে স্পষ্ট হয়েছে। বিধানসভায় বুধবার রাজ্যপাল বোস বক্তৃতার সময় রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির প্রশংসাসূচক অনুচ্ছেদ পড়া শুরু করতেই তীব্র প্রতিবাদ জানান শুভেন্দুরা। ‘রাজ্যপাল গো ব্যাক’ স্লোগানও দেওয়া হয়। পরে রাজ্যপাল বেরিয়ে গেলে ছিঁড়ে উড়িয়ে দেওয়া হয় তাঁর বক্তৃতার প্রতিলিপি। এই সংঘাতের আবহে শাসকদলের অন্য নেতাদের মতো আনন্দের পাশে দাঁড়িয়েছেন চিরঞ্জিৎও।

বৃহস্পতিবার বারাসতে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে একটি সরকারি পরিষেবা প্রদার কর্মসূচিতে যোগ দেন তারকা-বিধায়ক। সেখানেই রাজ্যপালের ভূমিকা সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে চিরঞ্জিৎ বলেন, ‘‘রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস এক জন পারফেক্ট নিরপেক্ষ লোক। উনি যে ভাবে সরকারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলছেন, তাতে রাজ্যপালের মেয়াদ কমিয়ে আনা হতে পারে।’’

Advertisement

বস্তুত, রাজ্যপাল বোসকে নিয়ে‌ এখন ‘শাঁখের করাতের দশা’ রয়েছে রাজ্য বিজেপির। দলের রাজ্য নেতৃত্বের একাংশের মতে, রাজ্যপাল বোস মুখ্যমন্ত্রী বা রাজ্য সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করলে বিরোধীদের তোলা ‘মোদী-দিদি সমঝোতা’র তত্ত্ব মান্যতা পেয়ে যাচ্ছে। তাই, রাজ্যপালের সমালোচনায় তাঁদের মুখ খুলতে হচ্ছে। আবার আক্রমণে গেলে ঘুরিয়ে আঙুল তোলা হয়ে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকারের দিকেই। কারণ, রাজ্যপালকে মনোনীত করেছে কেন্দ্রই। এই পরিস্থিতিতে নিজেদের অসন্তোষ চেপেও রাখছেন না বিজেপি নেতারা। তবে চিরঞ্জিতের দাবিকে অমূলক বলেই মনে করছেন সুকান্ত। তিনি বলেন, ‘‘এটা উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত। ওই বিধায়ক কেন এ সব বললেন, তা আমার জানা নেই। এ ভাবে কিছু ঠিক হয় না। আলটপকা মন্তব্যের কী প্রতিক্রিয়া দেব!’’

অন্য দিকে, দলীয় বিধায়কের মন্তব্যে ‘অস্বাভাবিকতা’ খুঁজে পায়নি তৃণমূল। শাসকদলের এক রাজ্য নেতার কথায়, ‘‘ব্যক্তিগত ভাবে এটা ওঁর (চিরঞ্জিৎ) মনে হতেই পারে। এতে অস্বাভাবিক কিছু নেই।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement