পড়িমরি: বাস ধরতে দৌড় অফিসযাত্রীর। মঙ্গলবার রাসবিহারী অ্যাভিনিউয়ে। ছবি: রণজিৎ নন্দী
করোনা আবহে বেসরকারি বাসে যাত্রী পিছু ভাড়া কত হওয়া উচিত, তা খতিয়ে দেখছে পরিবহণ দফতরের তিন সদস্যের কমিটি। তবে, সরকারি এবং বেসরকারি পরিবহণের সঙ্গে যুক্ত অনেকের মতে, সরকারি এগজিকিউটিভ বাসের ভাড়ার আদল এ ক্ষেত্রে সহায়ক হতে পারে।
বহু বছর ধরেই কলকাতায় বেশ কয়েকটি রুটে ওই শ্রেণির বাস চলে। তাতে সব আসনে যাত্রীরা বসে যান। কাউকে দাঁড়াতে হয় না। যাদবপুর- হাওড়া, পর্ণশ্রী-হাওড়া, নীলগঞ্জ (ব্যারাকপুর)– হাওড়ার মতো রুটে ওই বাস জনপ্রিয়। যাদবপুর থেকে ই-১ শ্রেণির যে বাস চলে, তাতে ন্যূনতম ভাড়া ১২ টাকা। পরের ধাপে ভাড়া ১৫ টাকা এবং সর্বোচ্চ ১৪ কিলোমিটার দূরত্বের জন্য ১৬ টাকা।
ভাড়া না বাড়িয়ে শুধু সব আসনে যাত্রী নিলে তাঁদের ক্ষতি হবে বলে জানাচ্ছেন বাস-মালিকেরা। তবে একাংশ এ-ও মানছেন, এই পরিস্থিতিতে ভাড়ার দাবিতে বাস না চালালে তা আখেরে ক্ষতি করবে। অল বেঙ্গল বাস মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় এবং বেঙ্গল বাস সিন্ডিকেটের সহ সভাপতি টিটো সাহা জানান, ভাড়া অনেকটা বাড়ালেই সমস্যা মিটবে, এমন নয়। সে দিক থেকে ই-১ মডেলকে স্বাগত জানিয়েছেন টিটো। জয়েন্ট কাউন্সিল অব বাস সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, ই-ওয়ানের ভাড়ার কাঠামো ‘আকর্ষণীয়’। জয়েন্ট কাউন্সিল, বাস মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং মিনিবাস অপারেটর্স কো–অর্ডিনেশন কমিটি বাস পিছু খরচের হিসেব কমিটিকে দিয়েছে। বাস মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রস্তাবিত ভাড়া— বাসের ক্ষেত্রে প্রথম চার কিলোমিটারের জন্য ন্যূনতম ১০ টাকা (এখন ৭ টাকা)। পরে ২৪ কিলোমিটার পর্যন্ত ১৫, ২০ এবং ২৫ টাকা পর্যন্ত ভাড়ার প্রস্তাব। মিনিবাসের ক্ষেত্রে প্রথম তিন কিলোমিটারের জন্য ১০ টাকা থেকে শুরু করে পরে ২২ কিলোমিটার পর্যন্ত ১৩, ১৬, ২০, ২৩ এবং ২৬ টাকা ভাড়ার প্রস্তাব। হিসেব দেয়নি বেঙ্গল বাস সিন্ডিকেট এবং বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতি।