সরকারি বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের মিড ডে মিল দেওয়া হচ্ছে। —ফাইল চিত্র।
প্রায় দেড় মাস গরমের ছুটির পর খুলবে স্কুল। দীর্ঘ ছুটির পর আগামী ১৫ জুন স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে দিয়েছে শিক্ষা দফতর। সেই মর্মে মধ্যশিক্ষা পর্ষদও নির্দেশিকা জারি করে দিয়েছে। এ বার জেলা শিক্ষা আধিকারিকেরা (ডিআই) প্রধানশিক্ষকদের এই সংক্রান্ত বিষয়ে নির্দেশ পাঠানো শুরু করেছেন। সেই নির্দেশে বলা হয়েছে, স্কুল খোলার আগে স্কুলের পরিচ্ছন্নতার দিকে বিশেষ ভাবে নজর দিতে হবে।
স্কুলের পরিবেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার পাশাপাশি, স্কুল খোলার সঙ্গে সঙ্গেই যাতে মিড ডে মিল পরিষেবা শুরু করা যায় সেই বিষয়েও প্রস্তুতি রাখতে বলা হয়েছে। শুক্রবার ডিআই-দের মারফত নির্দেশিকা পৌঁছে গিয়েছে রাজ্যের প্রায় সব সরকারি এবং সরকার অনুমোদিত স্কুলের প্রধানশিক্ষকদের কাছে। আগামী বৃহস্পতিবার থেকেই যে হেতু স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তাই আগামী সপ্তাহের প্রথম থেকেই বিভিন্ন স্কুলে জোরকদমে স্কুল খোলার প্রস্তুতি শুরু হয়ে যাবে।
উল্লেখ্য, প্রবল দাবদাহের জেরে ২ মে থেকে গরমের ছুটি শুরু হয়ে গিয়েছিল। প্রথম দিকে কয়েক দিন স্কুলে ছুটি দেওয়া হলেও, পরে গ্রীষ্মের দাপট বেড়ে যাওয়া ছুটি দীর্ঘায়িত করার কথা ঘোষণা করে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কার্যকরী সভাপতি পলাশ সাধুখাঁ শিক্ষা দফতরের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘স্কুল খোলার সঙ্গে সঙ্গেই যাতে ছাত্রছাত্রীরা মিড ডে মিল পায় সেই ব্যবস্থাই করেছে সরকার। মুখ্যমন্ত্রী স্কুলে মিড ডে মিল দেওয়ার পাশাপাশি, বই, খাতা, পোশাক, জুতো সব কিছু দেওয়ার বন্দোবস্ত করেছেন। কোনও কিছু থেকেই যাতে ছাত্রছাত্রীরা বঞ্চিত না হন, সেই ভাবনাকে আমরা কুর্নিশ জানাই।’’ তবে তৃণমূল শিক্ষক সংগঠনের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বামপন্থী সংগঠন বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতি নেতা স্বপন মণ্ডলের দাবি, ‘‘গরমের ছুটির সময় রাজ্য সরকার মিড ডে মিল না দিয়ে ৩০০ কোটি টাকা সাশ্রয় করেছে। সেই বিপুল পরিমাণ অর্থ কি ছাত্রছাত্রীদের জন্য বরাদ্দ হবে? তা নিয়ে আমরা প্রশ্ন তুলে, তার জবাব চাইছি।’’