প্রতীকী ছবি।
রাজ্যের হিমঘরগুলিতে এখনও অন্তত ৭ লক্ষ টন আলু মজুত রয়েছে। অথচ, কেজিপ্রতি দাম ৪৫ টাকা পেরিয়ে ৫০ টাকার দিকে ছুটছে। দাম বাগে আনতে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে রাজ্যের সব হিমঘর থেকে আলু বার করে দেওয়ার নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য সরকার। হিমঘর-মালিকদের কোনও অনুরোধই যে শোনা হবে না, তা-ও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘বার বার অনুরোধের পরেও ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদের কথা ভাবলেন না। আলু অযথা মজুত রেখে দাম বাড়ানো হচ্ছে। তাই আর রাজ্য সরকার অপেক্ষায় রাজি নয়। রাজ্যের সব হিমঘর ৩০ নভেম্বরের মধ্যেই খালি করতে হবে। কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের বলেই এ বার মজুতদারেরা সুযোগ পেয়ে গেলেন। এরপর বড় বড় সংস্থা সব আলু কিনে নেবে। সাধারণ ক্রেতাদের কথা কেউ ভাবেন না।’’
প্রতি মাসে এ রাজ্যে ৫ লক্ষ টন আলু লাগে। ভিন্ রাজ্যে যায় ১ লক্ষ টন। সেই হিসেবেও যে পরিমাণ আলু এখনও রাজ্যের ৪৬২টি হিমঘরে মজুত আছে, তাতে আলুর দাম এতটা চড়ার কথা নয় বলেই মনে করছেন চাষিদের একাংশ। তাঁদের দাবি, জোগানের সঙ্গে চাহিদার সমতা রক্ষা করা হচ্ছে না কৌশলে। তাই আলুর দাম বাড়ছে।