ফাইল চিত্র।
মঙ্গলবার নবান্নে দাঁড়িয়ে পাহাড়ের সব দলকে বৈঠকে ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার ২৪ ঘণ্টা পরে পাহাড়ে এখন বড় প্রশ্ন, গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা কি এই বৈঠকে যোগ দেবে? মোর্চা নেতৃত্ব জানাচ্ছেন, তাঁরা সতর্ক হয়ে পা ফেলতে চাইছেন। একা যাতে পুরো দায় না নিতে হয়, তাই বৈঠকে সামিল করতে চাইছেন গোর্খাল্যান্ড দাবি আদায় সমন্বয় কমিটি বা জিএমসিসি-কে।
সরকারি সূত্রের খবর, বৈঠকে যোগ দিতে যে তারাও ইচ্ছুক, সে কথা জানিয়ে এর মধ্যেই চিঠি দিয়েছে মোর্চা। যদিও মোর্চার নব নিযুক্ত চিফ কো-অর্ডিনেটর বিনয় তামাঙ্গ এ কথা অস্বীকার করে বলেছেন, ‘‘না, এখনও চিঠি দিইনি। তবে আমরা আলোচনা চাই সেটা আগেই বলেছি।’’ তাঁর কথায়, ‘‘আলোচনায় বসার ডাক সরকারি ভাবে পেলেই দেরি না করে আমরাও অবস্থান জানিয়ে দেব।’’
আরও পড়ুন: বিচারপতি চেয়ে বিক্ষোভ
মোর্চার অনেকেই বলছেন, বিনয় সতর্ক হয়েই প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন। তিনি জানেন, এর মধ্যে যদি জিএমসিসি-র বৈঠকে বন্ধ তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত না হয়, তা হলে বৈঠকে প্রথমেই এই প্রসঙ্গ উঠবে। তখন সবটা যাতে তাঁদের ঘাড়ে না আসে, তাই জিএমসিসি-কে আলোচনায় সামিল করতে চাইছেন বিনয়রা। জিএমসিসি-তে পাহাড়ের সব দলের প্রতিনিধি থাকায় কোনও সিদ্ধান্তের দায়ই কাউকে একা বইতে হবে না। পরে কেউ চট করে আন্দোলনে নামতে পারবে না। মোর্চার কেন্দ্রীয় কমিটির একাধিক নেতা একান্তে জানান, বন্ধ তোলার পরে কট্টরপন্থীরা গোলমাল পাকানোর চেষ্টা করলে যাতে সব দল একজোট হয়ে তা রুখতে পারে, সেটাও মাথায় রাখতে হচ্ছে।
জিএনএলএফ সভাপতি মন ঘিসিঙ্গের চিঠির প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার বৈঠকের কথা ঘোষণা করেন মমতা। জানান, এই বৈঠকে পাহাড়ের সব দল, সব ক’টি উন্নয়ন পর্ষদকে ডাকা হবে। এই ঘোষণায় তিনি আলাদা করে মোর্চার কথা বলেননি। ফলে মোর্চার উপরে নতুন চাপ তৈরি হয়। সরকারি সূত্রের খবর, এর পরই এসে পৌঁছয় মোর্চার চিঠি। সেখানে আলোচনায় যোগ দেওয়ার কথাই বলা হয়েছে বলে দাবি ওই সরকারি সূত্রের।
মন ঘিসিঙ্গ যে রাজ্যকে একক ভাবে চিঠি দিয়েছেন, তাকে এ দিন সমালোচনা করেছে তাদের সহযোগী দল সিপিআরএম। বুধবার সভা করে তারা জানায়, জোটবদ্ধ আন্দোলনের মাঝে আলাদা চিঠি দেওয়া ঠিক নয়। যদিও জিএনএলএফের কেন্দ্রীয় কমিটির বক্তব্য, জিএমসিসি-তে থাকলে কোনও দলের সভাপতি জনস্বার্থে স্বাধীন সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না, এমন বাধ্যবাধকতা নেই।