চিন্তাগ্রস্থ।—ফাইল চিত্র।
মেট্রোর সুড়ঙ্গের কাজ করতে গিয়ে ধস নেমেছে বৌবাজারের গলিতে, ভেঙে পড়ছে বাড়ি।
ধস এখন এই মানুষগুলির মনেও। ভেঙে খান খান তাঁদের ভবিষ্যতের সংস্থানের স্বপ্ন।
নদিয়ার রানাঘাটের এই স্বর্ণশিল্পীরা কাজ করেন বৌবাজারের সোনাপট্টিতে। সেখানে ব্যবসা এখন পুরোপুরি বন্ধ। মাথায় হাত কারিগরদের। রানাঘাট ছাড়াও হবিবপুর, গাংনাপুর, রামনগর এলাকার প্রায় ৫০০ কারিগররা বৌবাজারে সোনার দোকানে কাজ করতে যান। চরম অনিশ্চয়তায়, আতঙ্কে দিন কাটছে তাঁদের।
‘বঙ্গীয় স্বর্ণশিল্পী সমিতি’র রানাঘাট শাখার সম্পাদক এবং রাজ্য কমিটির ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক দীপঙ্কর সরকার জানিয়েছেন, বৌবাজারের সেকরাপাড়া লেন, গৌর দে লেন, দুর্গা পিতুরি লেন এবং হৃদয়রাম বন্দ্যোপাধ্যায় লেনে সোনার দোকানে কাজ করতে যান। কেউ ২৫ কেউ বা ৩০ বছর এই পেশার সঙ্গে যুক্ত। অধিকাংশই জেলা থেকে প্রতি দিন যাতায়াত করেন। আবার কিছু কারিগর সপ্তাহে পাঁচ দিন কলকাতায় কাটিয়ে শনি-রবিবার বাড়ি ফেরেন।
সোনার কারিগর গোপাল বসাক, রাজু বসাকেরা বলেন, ‘‘সোনার দাম বেড়ে যাওয়ায় এমনিতেই ব্যবসায় মন্দা চলছিল। তা-ও আসা করেছিলাম, পুজোর সময় হয়তো কিছুটা লাভের মুখ দেখব। কিন্তু সব শেষ হয়ে গেল এই ধসে। কী ভাবে সংসার চলবে কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না।’’ সংগঠনের বৌবাজার শাখার সম্পাদক সুব্রত কর বলেন, “গলির মধ্যে অনেক দোকান থেকেই মালিকেরা সব সোনা বার করে আনতে পারেননি। আদৌ পারবেন কি না বুঝতে পারছেন না। তাঁদের মাথায় হাত। ওই সব দোকানে নদিয়ার অনেক কারিগর কাজ করেন। তাঁরাও এখন চোখে অন্ধকার দেখছেন।”