—প্রতীকী ছবি।
রেলপথ আছে, কিন্তু রেল পুলিশ নেই! বহু বছর ধরেই তারকেশ্বর-গোঘাট এবং সাঁতরাগাছি-আমতা লাইনের দশা এমনই। অপরাধদমন হোক কিংবা নিরাপত্তা, ছুটে যেতে হয় স্থানীয় থানার পুলিশকে। অপরাধের বাড়বাড়ন্তেরও অভিযোগ ওঠে। এ বার ওই দুই শাখা নিজের হাতে নিতে চলেছে রাজ্যের রেল পুলিশ। এ ব্যাপারে নবান্নে প্রস্তাব পৌঁছেছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর। রেল পুলিশের কর্তাদের খবর, শীঘ্রই এই হস্তান্তরের ব্যাপারটি সম্পন্ন হবে।
রেল পুলিশ সূত্রের খবর, হাওড়া ডিভিশনের তারকেশ্বর থেকে গোঘাট পর্যন্ত লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু হয়েছে কয়েক বছর আগেই। ৩৪ কিলোমিটার দীর্ঘ ওই রেলপথে পাঁচটি স্টেশন আছে। তালপুর হল্ট, টাকিপুর হল্ট, মায়াপুর, আরামবাগ, গোঘাট। স্টেশনগুলিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই। প্রতিদিন কয়েক জোড়া ট্রেন চলে ওই শাখায়। নিত্যযাত্রীও অনেক। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষায়, অপরাধ ঘটলে যেতে হয় স্থানীয় থানাকে। রেল দুর্ঘটনা বা রেলের এলাকায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্তভারও স্থানীয় থানার হাতে থাকে।
রেল পুলিশ জানায়, সাঁতরাগাছি ও আমতার মধ্যে থাকা ৫১ কিলোমিটার রেলপথেরও একই দশা। ওই শাখায় ১৭টি স্টেশনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ডোমজুড়, কোনা, আমতা। দিনে কয়েক জোড়া ট্রেন চলে। নিরাপত্তার পরিকাঠামো প্রায় নেই বললেই চলে। রেল পুলিশের এক কর্তা জানান, সম্প্রতি ওই দুই শাখা নিজেদের হাতে নিতে চেয়ে নবান্নে প্রস্তাব পাঠিয়েছেন তাঁরা। তারকেশ্বরে একটি পুলিশ ফাঁড়ি তৈরির প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। সাঁতরাগাছি-আমতা শাখাতেও অন্তত একটি ফাঁড়ি তৈরি করার ভাবনা আছে।