মনজিতা বড়ুয়া। ছবি: ব্রিটিশ ডেপুটি হাই-কমিশনের সৌজন্যে
এক দিনের জন্য ডেপুটি–হাইকমিশনারের পদে বসে দায়িত্ব সামলালেন অসমের বছর কুড়ির মনজিতা বড়ুয়া। তা-ও আবার ব্রিটিশ ডেপুটি হাই-কমিশনারের পদ! বৃহস্পতিবার সকাল থেকে হো-চি-মিন সরণিতে ব্রিটিশ ডেপুটি হাই-কমিশন অফিসে ঢুকে কূটনৈতিক কাজকর্ম দেখা, তা বোঝার পাশাপাশি তিনি লিঙ্গ বৈষম্য এবং মানব পাচার নিয়ে ব্রিটেন কী ভাবে কাজ করে তা জানার চেষ্টা করেন।
শুধু তাই নয়। ব্রিটেন ব্যবসা সংক্রান্ত বিষয়ে ভারতীয়দের কী সুবিধা দেয়, কী ধরনের বৃত্তি নিয়ে সে দেশে ভারতীয় পড়ুয়ারা যেতে পারেন—সব বিষয়ে খুঁটিনাটি তথ্য জানেন তিনি। আজ, শুক্রবার আন্তর্জাতিক কন্যা-সন্তান দিবস। আর সেই উপলক্ষে কলকাতার ব্রিটিশ ডেপুটি হাই-কমিশনারের অফিস থেকে মনজিতাকে বাছাই করা হয়। এ দিনটিকে মাথায় রেখে ২০১৬ থেকে ভারতের সাতটি জায়গার জন্য ডেপুটি হাই-কমিশনার এবং দিল্লিতে হাই-কমিশনার পদের জন্য এক জন করে তরুণীকে বাছাই করে এক দিনের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়। আর এ বছর পূর্বাঞ্চলীয় ও উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে ছ’জন লিঙ্গ বৈষম্য নিয়ে নিজেদের বক্তব্যের এক মিনিটের ভিডিয়ো আপলোড করেন। সেখান থেকেই বাছাই হন মনজিতা। শিলচর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইলেকট্রনিক্স এবং কমিউনিকেশনস ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করা মনজিতার কথায়, ‘‘আমার কলেজেও এই বৈষম্য প্রকট। ছ’শোর উপর পড়ুয়ার মধ্যে মেয়েদের সংখ্যা মাত্র ৭০-৮০। পড়াশোনার ক্ষেত্রেও মেয়েদের এই বৈষম্য দেখে আমার মনে হয়েছে সব ক্ষেত্রে মেয়েদের এগিয়ে আসতে হবে এবং নিজেদের প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’’ মেয়েরা আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী হলেই এই বৈষম্য দূর করা সম্ভব বলে মনে করেন তিনি। অন্য দিকে কলকাতার ব্রিটিশ ডেপুটি হাই-কমিশনার ব্রুস বাকনেল বলেন, ‘‘লিঙ্গ বৈষম্য দূর করতে ব্রিটেন-ভারত যৌথ ভাবে কাজ করছে। মনজিতার মতো তরুণ প্রজন্মরাই পারেন বৈষম্য দূর করতে।’’