Maldah

করোনার থাবায় দু’বছর বন্ধ বায়না, পেটের তাগিদে পেশা-বদল মালদহের গম্ভীরা শিল্পীদের

পুজো আসছে। কিন্তু মন খারাপ মালদহের গম্ভীরা শিল্পীদের। কারণ এ বার একটিও বরাত জোটেনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১৯:০৫
Share:

বায়না না পেয়ে পেশা বদল গম্ভীরা শিল্পীদের গ্রাফিক- সনৎ সিংহ

দু’বছর ধরে কাজ নেই। বছর খানেক আগে কাজের বায়না পেয়েছিলেন বটে, কিন্তু করোনা আবহে সবই বাতিল করতে হয়েছে। পেটের খিদে মেটাতে তাই বদলে ফেলেছেন পেশা। লোকশিল্পীর তকমা মুছে এখন কেউ রাজমিস্ত্রী, আবার কেউ ভ্যান রিক্সাচালক। কেউ বা কাজের খোঁজে ভিন্ রাজ্যে পাড়ি দিয়েছেন।

তবে মন ভালো নেই। কারণ পুজো আসছে। এ বছরও কাজের বরাত জোটেনি। করোনা আবহে মালদহের গম্ভীরা ও মানব পুতুল নাচের শিল্পীরা তাই হতাশায় ডুবে। প্রায় দু’বছর ধরে বন্ধ তাঁদের অনুষ্ঠান।

মালদহের ইংরেজবাজার ব্লকের মানিকপুর এলাকার মানব পুতুল নাচ খুবই পরিচিত। শিল্পী হিমাংশু মণ্ডল বলেন, ‘‘২০০৫ সালে তাঁরা প্রথম অন্বেষা সাংস্কৃতিক মঞ্চ গড়ে মানব পুতুল নাচ শুরু করেন।’’ বাংলার পাশাপাশি অন্য রাজ্যে অনুষ্ঠান হয়। একাধিক ট্রফি-শংসাপত্র পেয়েছেন। লকডাউনে দিনের পর দিন কোনও অনুষ্ঠান বা সরকারি অনুষ্ঠান না পাওয়ায় বিপন্ন শিল্পীর পরিবার।

Advertisement

আর এক শিল্পী মুরলীরাম মণ্ডল জানান, ‘‘আমি একজন মানব পুতুল শিল্পী। কিন্তু বর্তমানে দিনমজুরি করে পেট চালাচ্ছি। লকডাউনের পর থেকে কোনও অনুষ্ঠান পাইনি। পেটের তাগিদে পরিবার বাঁচাতে তাই দিনমজুরি করতে হচ্ছে।’’

সকলের একটাই প্রার্থনা, পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি ঘটুক। রাজমিস্ত্রীর পেশা ছেড়ে নেশার টানে আবার মঞ্চে ফিরতে উৎসুক মালদহের লোকশিল্পীরা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement