ছবি : সংগৃহীত।
হাওড়া থেকে শালিমার টার্মিনালে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের কয়েকটি ট্রেন সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে আগামী মাস থেকেই। যে আট জোড়া ট্রেন ধাপে ধাপে শালিমারে সরিয়ে নেওয়ার কথা আগেই জানানো হয়েছিল, সেগুলির মধ্যে জ্ঞানেশ্বরী, ইস্ট-কোস্ট, করমণ্ডল, হাওড়া-পুরী স্পেশ্যাল, শ্রীজগন্নাথ এক্সপ্রেসের মতো গুরুত্বপূর্ণ ট্রেন রয়েছে।
আগামী ৪ নভেম্বর হাওড়া থেকে সরে যাচ্ছে জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস। এত দিন সেটি হাওড়া থেকে ছেড়ে মুম্বইয়ের লোকমান্য তিলক টার্মিনাস পর্যন্ত যেত। রেলের নতুন বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, আগামী ৪ নভেম্বর থেকে ওই ট্রেন ছাড়বে শালিমার স্টেশন থেকে। তার আগে, আগামী মঙ্গলবার অবশ্য মুম্বই থেকে আসা ট্রেনটি হাওড়া পর্যন্ত না এসে শালিমার স্টেশনেই তার যাত্রা শেষ করবে। এর পরের ধাপে, আগামী বছরের প্রথম দিনেই শালিমার স্টেশন থেকে ছাড়বে হাওড়া-ভাস্কো দা গামা স্পেশ্যাল। ২ জানুয়ারি থেকে সরে যাচ্ছে ইস্ট-কোস্ট এক্সপ্রেস। দক্ষিণের গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনগুলির অন্যতম করমণ্ডল এক্সপ্রেস আগামী ১৪ জানুয়ারি থেকে হাওড়ার বদলে শালিমার স্টেশন থেকে ছাড়বে। এ ছাড়া, ওই মাসেই শালিমারে সরে যাবে হাওড়া-পোরবন্দর স্পেশ্যাল, হাওড়া থেকে পুরী পর্যন্ত যাওয়া ধৌলি এক্সপ্রেস এবং শ্রীজগন্নাথ এক্সপ্রেস।
তবে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনের প্রান্তিক স্টেশন হাওড়া থেকে শালিমারে সরে যাওয়ায় যাত্রীদের অনেকে উদ্বিগ্ন। বিশেষত, নতুন শালিমার স্টেশনের সঙ্গে কলকাতা এবং শহরতলির যোগাযোগ সুগম নয় বলেই অভিযোগ। শালিমার স্টেশন শহরতলির লোকাল ট্রেন পরিষেবার মাধ্যমে যুক্ত নয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। দক্ষিণের একাধিক ট্রেনে বয়স্ক এবং অসুস্থ যাত্রীরা চিকিৎসার প্রয়োজনে যাতায়াত করেন। তাঁদের অধিকাংশই প্রান্তিক স্টেশন থেকে ট্রেনে উঠতে পছন্দ করেন। তাঁদের ক্ষেত্রে এ ভাবে প্রান্তিক স্টেশনের বদল হলে অসুবিধা হতে পারে বলে অভিযোগ করছেন যাত্রীদের একাংশ।
যদিও রেল কর্তৃপক্ষের দাবি, যে সব ট্রেন হাওড়া থেকে সরিয়ে শালিমারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, সেগুলির সব ক’টিই সাঁতরাগাছি স্টেশনে থামবে।
গত কয়েক বছর ধরে শালিমার স্টেশনের পরিকাঠামোগত উন্নয়ন করা হয়েছে। ঢেলে সাজানো হচ্ছে সাঁতরাগাছি স্টেশনও। সরকারি, বেসরকারি বাস, ট্যাক্সি এবং অ্যাপ-ক্যাব পরিষেবা শুরু করার জন্য হাওড়া জেলা প্রশাসন ও রাজ্য সরকারের সঙ্গে সমন্বয় রক্ষা করা হচ্ছে বলেও দাবি রেল কর্তৃপক্ষের। বাবুঘাট থেকে শালিমার পর্যন্ত লঞ্চে যাতায়াতের জন্য একটি জেটি নির্মাণের প্রস্তাবও করা হয়েছে বলে খবর। এ প্রসঙ্গে রেলের এক কর্তা জানিয়েছেন, হাওড়া স্টেশন থেকে ট্রেনের চাপ কমাতেই এই ব্যবস্থা করা হচ্ছে।