প্রতীকী ছবি।
মোদী বাড়িয়েছেন পাঁচ মাস, মমতা বাড়ালেন ন’মাস। বিনামূল্যে রেশন ব্যবস্থার মাধ্যমে খাদ্যশস্য দেওয়ার সময়সীমা আচমকা বেড়ে যাওয়ায় রাজ্যকে অতিরিক্ত প্রায় চার হাজার কোটি টাকা খরচ করতে হবে বলে মনে করছেন আধিকারিকদের একাংশ।
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, ১৮.৫০ টাকা কিলোগ্রাম দরে ধান কিনতে হয়। সেই ধান থেকে চাল উৎপাদন করে তাকে বস্তাবন্দি এবং গুদামজাত করতে বেশ কিছু খরচ হয়। সব মিলিয়ে কিলোগ্রাম প্রতি ৩০ টাকার মতো খরচ হয় সরকারের। সেই চাল দু’টাকা কেজি দরে প্রকল্পে বিতরণ করতে সরকারকে ভর্তুকি দিতে হয়। তাই মার্চ মাসের আগে পর্যন্ত প্রতি মাসে রেশন বাবদ প্রায় ১৩০০ কোটি টাকা খরচ হত। লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত বিনামূল্যে মাথাপিছু পাঁচ কেজি করে চাল প্রতি মাসে দিচ্ছে রাজ্য। তাতে প্রতি মাসে ১৩০০ কোটির উপর আরও সাড়ে চারশো কোটি টাকা করে অতিরিক্ত খরচ করতে হয়েছে। খাদ্য দফতরের অনুমান, সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাকি তিন মাসেও এই পরিমাণ অতিরিক্ত খরচ হবে। সব মিলিয়ে ছ’মাসের অতিরিক্ত খরচ ২৭০০ কোটি টাকা। খাদ্য দফতরের এক কর্তার কথায়, “১০০ কেজি ধান থেকে কমবেশি ৬৭ কেজি চাল পাওয়া যায়। স্বাভাবিক ভাবেই বেশি ধান কিনতে হয়। খরচও হয় বেশি।”
সেপ্টেম্বরের পরে আরও ন’মাস বাড়িয়ে আগামী বছর জুন পর্যন্ত বিনামূল্যে খাদ্যশস্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের দাবি, এখন প্রায় ১০ কোটি মানুষ বিনামূল্যে রেশনের সুবিধা পাচ্ছেন। সেপ্টেম্বরের পরে চূড়ান্ত হবে কত সংখ্যক মানুষকে সেই সুবিধা দেওয়া হবে। তবে বর্তমান পরিস্থিতি বজায় থাকলে নতুন ন’মাসের জন্য সরকারকে অতিরিক্ত আরও প্রায় চার হাজার কোটি টাকা (প্রতি মাসে অতিরিক্ত প্রায় সাড়ে চারশো কোটি টাকার হিসেব ধরে) খরচ করতে হবে।
প্রশাসনের এক কর্তার কথায়, “বর্তমানে প্রায় ১০ কোটি মানুষ বিনামূল্যে রেশনের সুবিধা পাচ্ছেন। সেপ্টেম্বরের পরে উপভোক্তার সংখ্যা কমতে পারে। রেশনের সুবিধা নেন না, এমন ২-৩ কোটি মানুষকে তখন এই হিসেবের মধ্যে না-ধরলেও চলবে। সে ক্ষেত্রে অতিরিক্ত খরচ কিছু কমবে। তবে খাদ্যসাথী প্রকল্পের খরচ চলবে, তাতে সন্দেহ নেই।”