প্রতীকী ছবি।
চতুর্থ বারের চেষ্টাতেও সুফল মিলল না। স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি) মামলা আবারও ফিরিয়ে দিল কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। এই নিয়ে চারটি ডিভিশন বেঞ্চ ফিরিয়ে দিল মামলাটি। পরে এ ব্যাপারে আবেদনকারীর আইনজীবীরা আবার প্রধান বিচারপতির দ্বারস্থ হলে তিনি কিছুটা ভর্ৎসনার সুরেই প্রধান বিচারপতি আইনজীবীদের জানিয়ে দেন, ‘‘নিয়ম মেনে কাজ করুন। যখন তখন মামলা নিয়ে চলে এলেই হবে না।’’
এসএসসি সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় রাজ্য গঠিত শিক্ষক এবং কর্মী নিয়োগের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য়দের দিকেই অভিযোগের আঙুল উঠেছিল। এর পরেই গত শুক্রবার কমিটির চার সদস্যকে সিবিআইয়ের মুখোমুখি হতে বলেছিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চ। সেই রায়ের বিরুদ্ধে রক্ষাকবচ চেয়ে ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন করেছিলেন উপদেষ্টা কমিটির সদস্যরা। কিন্তু তিনটি ডিভিশন বেঞ্চই ওই মামলা ফিরিয়ে দেয়। মঙ্গলবার বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি বিভাস পট্টনায়কের ডিভিশন বেঞ্চে উঠেছিল মামলাটি। কিন্তু এই বেঞ্চও জানিয়ে দেয়, মামলাটি শুনতে তারা আগ্রহী নয়।
চারটি ডিভিশন বেঞ্চ মামলাটি গ্রহণ না করায় মঙ্গলবার তড়িঘড়ি প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে যান ওই আইনজীবীরা। কিন্তু আইনজীবীদের একরকম ভর্ৎসনা করেই প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘আপনারা আদালতের সৌজন্য বজায় রাখুন। যখন তখন মামলা মেনশন করতে চলে আসছেন কেন? জুনিয়র আইনজীবীরা এ থেকে কী শিখবে? মেনশনের নির্দিষ্ট সময় সীমা আছে। তখনই আসুন।’’
২০১৯ সালের ১ নভেম্বর স্কুলে নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে তদারকি এবং পর্যবেক্ষণের জন্য ৫ সদস্যের একটি কমিটি গড়েছিল রাজ্য। কমিটির উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহা ছাড়াও ছিলেন সুকান্ত আচার্য (তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রীর ব্যক্তিগত সচিব), প্রবীরকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়, (তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রীর ওএসডি), অলোককুমার সরকার (শিক্ষা দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর), তাপস পাঁজা (শিক্ষা দফতরের আইনি অফিসার)। বিচারপতি গঙ্গোপধ্যায়ের রায়ের বিরুদ্ধে এই কমিটির পাঁচ সদস্যের আইনজীবীরা প্রধান বিচারপতির এজলাসে যান। তাঁর নির্দেশেই তিনটি ডিভিশন বেঞ্চে ওঠে মামলাটি। কিন্তু তিনটি বেঞ্চই ওই মামলা ফিরিয়ে দেয়। এবার চতুর্থ বেঞ্চও একই সিদ্ধান্ত নিল।