Bengal SSC Recruitment Verdict

চাকরি বাতিল চার শিক্ষকের, প্রশ্নে স্কুলের পড়াশোনা

জেলা শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, হাওড়া গ্রামীণের একমাত্র এই গঙ্গাধরপুর বিদ্যামন্দিরেই বাংলার পাশাপাশি ইংরেজি মাধ্যমেও একাদশ-দ্বাদশের বিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা হয়।

Advertisement

নুরুল আবসার

উলুবেড়িয়া শেষ আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ০৮:২২
Share:

—প্রতীকী ছবি।

কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে চাকরি সঙ্কটে পড়েছে হাওড়া গ্রামীণের গঙ্গাধরপুর বিদ্যামন্দিরের চার শিক্ষকের। ওই শিক্ষকরা এমন রায়ে কিছুটা অবাক, লজ্জিতও। রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার কথা জানিয়েছেন তাঁরা। তবে সঙ্কট কম নয় স্কুল কর্তৃপক্ষেরও। ওই তিন শিক্ষিকা ও এক শিক্ষক না থাকলে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির ইংরেজি মাধ্যমের পড়াশোনা কী ভাবে চলবে, তা নিয়ে চিন্তিত তাঁরা। এমনকি, ওই মাধ্যমে পড়াশোনা বন্ধ হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে তাঁদের।

Advertisement

জেলা শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, হাওড়া গ্রামীণের একমাত্র এই গঙ্গাধরপুর বিদ্যামন্দিরেই বাংলার পাশাপাশি ইংরেজি মাধ্যমেও একাদশ-দ্বাদশের বিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা হয়। ২০১২ সালে এই নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের অনুমোদন পায় স্কুল। ওই বিভাগের জন্য চার জন শিক্ষক পদেরও অনুমোদন দেয় তারা। ২০১৮ সালে নিয়োগ পান ওই শিক্ষকেরা। স্কুল সূত্রে খবর, ওই চার শিক্ষক আসার পর পড়ুয়ার সংখ্যা বাড়ে। এখন ২৬ জন পড়ুয়া এই মাধ্যমে পড়াশোনা করে।

মূলত যে দু’জনের উদ্যোগে ইংরেজি মাধ্যম চালু হয়েছিল, তাঁরা হলেন স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা সন্তোষকুমার দাস এবং সদ্য অবসর নেওয়া ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শঙ্কর খাঁড়া। সন্তোষ বলেন, ‘‘ইংরেজি মাধ্যম চালু রাখতে আমাদের নাস্তানাবুদ হতে হয়েছিল। তখন বাংলা মাধ্যমের শিক্ষকরাই কোনও ক্রমে জোড়াতালি দিতেন। বহু আবেদনের পরে যদিও বা শিক্ষক মিলল, তাঁরাও যদি চলে যান, তা হলে পড়ুয়াদের কী হবে?’’ শঙ্করের কথায়, ‘‘যে চার জন শিক্ষক এসেছিলেন, তাঁদের নিয়োগ সংক্রান্ত কাগজ ঠিক ছিল। তাঁরা তো ভাল পড়ানও।’’

Advertisement

চাকরি বাতিলের নির্দেশে কার্যত দিশাহারা এই স্কুলের শিক্ষিকা পারমিতা পাত্র। তিনি বলেন, ‘‘দুর্নীতির যারা করেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। কিন্তু আমি যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে চাকরি পেয়েছি। একটা প্যানেলের সবাই দুর্নীতি করে চাকরি পেয়েছেন, এটা হয় নাকি?’’ পারমিতার বাড়ি দুর্গাপুরে। চাকরি সূত্রে এখন থাকেন গঙ্গাধরপুরে। তাঁর স্বামী বেসরকারি সংস্থায় চাকরি করেন। তাঁদের এক মেয়ে আছে। পারমিতা বলেন, ‘‘চাকরি না থাকলে শুধু যে আমার পরিবারে আর্থিক বিপর্যয় ঘটবে তা নয়, সম্মানও থাকবে না। অথচ আমি কোনও দোষ করিনি।’’ বাকি শিক্ষকদেরও একই বক্তব্য।

জেলা স্কুল পরিদর্শক অজয়কুমার পাল এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement