প্রতিবাদ পোস্টারে: শুক্রবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার।
যাদবপুর অঞ্চলের কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এক সময় যে সকল এসএফআই কর্মী-সমর্থকের স্লোগানে মুখর হত, তাঁরা আজ, শনিবার এক মঞ্চে শামিল হবেন। সৌজন্যে যাদবপুর এসএফআই। সংগঠনের ৫০ বছরপূর্তি উপলক্ষে এই উদ্যোগ। উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, দেশে যখন বিভাজনের রাজনীতির রমরমা, তখন হারিয়ে যাওয়া প্রাক্তন এসএফআই কর্মীদের বামবৃত্তে ফিরিয়ে আনতে এই প্রয়াস।
যাদবপুর অঞ্চলে অ্যান্ড্রুজ, কে কে দাস কলেজ, সম্মিলনী কলেজ, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনেকেই এসএফআইয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাঁদের একাংশ পরবর্তী সময়ে সক্রিয় রাজনীতিতে রয়েছেন। কিন্তু একটা বড় অংশই এখন সরাসরি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন। উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, জীবিকার কারণে এই প্রাক্তন এসএফআই কর্মীদের রাজ্য বা দেশের অন্যত্র চলে যেতে হয়েছে। ফলে অনেকে ইচ্ছে থাকলেও সরাসরি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হতে পারেননি। ক্রমে ক্রমে এই মানুষগুলির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় সংগঠনের। তাঁদের সঙ্গে পুনরায় যোগসূত্র গড়ে তুলতেই যাদবপুর এফএফআইয়ের উদ্যোগ, ‘স্বর্ণালী অতীত থেকে সমৃদ্ধ বর্তমান/ ‘৫০’-এর আড্ডায় মুখোমুখি আমরা’। আজ, শনিবার গড়ফা সংস্কৃতি চক্র মঞ্চে সন্ধে ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত গানে-কবিতায়-আলাপচারিতায় মাতবেন যাদবপুর এসএফআইয়ের প্রাক্তন এবং বর্তমানেরা।
উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, শমীক লাহিড়ী, সুজন চক্রবর্তী, কল্লোল মজুমদারের মতো একাধিক সিপিএম নেতাকর্মীর ছাত্র রাজনীতির হাতেখড়ি এই যাদবপুর অঞ্চল থেকেই। এঁরা তো রয়েছেনই, তা ছাড়াও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে প্রায় ৫০০ জন প্রাক্তন এসএফআই কর্মীকে। ‘আড্ডা’র অন্যতম উদ্যোক্তা তথা প্রাক্তন ছাত্রনেতা সুব্রত দাশগুপ্তের কথায়, ‘‘দেশ জুড়ে বিভাজনের রাজনীতি। এই সময়ে ঐক্যবদ্ধ, বৃহত্তর মঞ্চে এসএফআইয়ের প্রাক্তনীদের শামিল করা এবং পুনরায় তাঁদের বাম রাজনীতিতে যুক্ত করাই মূল লক্ষ্য।’’ বড় কোনও কাজ না-থাকলে ‘আড্ডা’য় যোগ দেবেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার সিপিএমের জেলা সম্পাদক শমীকও। তিনি বলেন, ‘‘ছাত্র আন্দোলনের একটা অন্য রকম আবেগ রয়েছে। এটা গণতন্ত্রপ্রিয় সকল মানুষকে একজোট করার উদ্যোগ। প্রাক্তন এসএফআইদের ডেকেছে, এটা আমাদের জন্য তো খুবই ভাল। পুরনো দিনের কথায় ফিরে যেতে ভালই লাগে।’’