ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় —ফাইল চিত্র।
করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হলেন তৃণমূল নেতা ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার সকালে নেটমাধ্যমে কোভিড ‘পজিটিভ’ হওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি। আপাতত কলকাতার বাড়িতে নিভৃতবাসে আছেন ঋতব্রত। তাঁর স্ত্রী দূর্বাও করোনা আক্রান্ত। তিনিও নিভৃতবাসে রয়েছেন।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ঋতব্রত তৃণমূলের নির্বাচনী প্রচারে উত্তরবঙ্গের বিধানসভা কেন্দ্রগুলির প্রচারে ছিলেন। সেখান থেকে ফিরে গত ১৭ থেকে ১৯ এপ্রিল ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলের বেশ কিছু আসনে দলের হয়ে প্রচার করেন। ঋতব্রত জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার থেকে তাঁর উপসর্গ দেখা দেয়। শুক্রবার সস্ত্রীক কোভিড পরীক্ষা করান। রাতেই তাঁদের করোনা রিপোর্ট পজেটিভ আসে। চিকিৎসকদের পরামর্শে বাড়িতেই তাঁরা নিভৃতবাসে রয়েছেন। শনিবার আনন্দবাজার ডি়জি়টালকে ঋতব্রত বলেন, ‘‘জ্বর, সর্দি, কাশি না থাকলেও, গা-হাত-পায়ে ব্যথা রয়েছে। আপাতত চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনেই চলছি।’’
ভোটপ্রচারের মধ্যেই একের পর এক তৃণমূল নেতা করোনা-আক্রান্ত হয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার করোনা আক্রান্ত হয়েছেন শ্যামপুকুরের তৃণমূল প্রার্থী শশী পাঁজা। আপাতত তিনি বাড়িতেই নিভৃতবাসে রয়েছেন। তার আগে বুধবার করোনায় আক্রান্ত হন কামারহাটির তৃণমূল প্রার্থী মদন মিত্র। তিনি বাইপাসের এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহাও। খড়দহ বিধানসভার তৃণমূল প্রার্থী কাজল সিংহেরও কোভিড রিপোর্ট ‘পজিটিভ’ আসায় তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে। বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালেই করোনা আক্রান্ত হয়ে ভর্তি রয়েছেন তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর। পরিবারের লোকজন করোনায় সংক্রমিত হওয়ায় নিজের সমস্ত প্রচারসূচি বাতিল করে বাড়িতেই আপাতত নিভৃতবাসে রয়েছেন জোড়াসাঁকোর তৃণমূল প্রার্থী বিবেক গুপ্ত।