সুর চড়ালেন মদন মিত্র। নিজস্ব চিত্র।
এসেছিলেন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে। ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পাওয়ার পর বুধবার আদালত চত্বরে দাঁড়িয়েই বিজেপি-র বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দাগলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা মদন মিত্র। বাদ দিলেন না শুভেন্দু অধিকারী বা রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কেও। আগামী মাসে পশ্চিম মেদিনীপুরের নেতাইয়ে তৃণমূল নেতা ছত্রধর মাহাতোকে নিয়ে সভা করার কথা জানিয়ে হুঁশিয়ারি দিলেন, ‘‘ক্ষমতা থাকলে ওখানে পদ্ম ফুটিয়ে দেখাক।’’
বুধবার তালতলা থানার একটি মামলায় মদন ব্যাঙ্কশাল আদালতে আত্মসমপর্ণ করতে এসেছিলেন। ৩০০ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে তিনি জামিন পান। দুপুর ৩টে নাগাদ আইনজীবীদের সঙ্গে নিয়ে আদালতে হাজিরা দেন। তাঁর আইনজীবী বিশ্বজিৎ বর্ধন বলেন, “২০০৯ সালে তালতলা থানার একটি মামলার প্রেক্ষিতে আমার মক্কেল মদন মিত্র আত্মসমর্পণ করতে এসেছেন। তিনি ৩০০ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পেয়েছেন।” সঙ্গে ছিলেন অপর আইনজীবী শ্যাম যাদবও।
জামিন পাওয়ার পর আদালত চত্বরে মদন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে স্লোগান তোলেন। তার পর বলেন, ‘‘আমার নামে বিভিন্ন থানায় ২৯টা মামলা রয়েছে। সিপিএমের সময়েও ভয় পাইনি। বিজেপি ১ লক্ষ মামলা করলেও ভয় পাব না। আগামী ৭ জানুরারি নেতাইয়ে ছত্রধর মাহাতোকে নিয়ে সভা করব। বিজেপি-র ক্ষমতা থাকলে ওখানে পদ্ম ফুটিয়ে দেখাক।’’
মঙ্গলবারই খড়দহে বিজেপি-র সভা থেকে সদ্য তৃণমূল ছেড়ে যাওয়া শুভেন্দু অধিকারী হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, কালীঘাটে ঢুকে ‘পদ্ম’ ফোটাবেন। মদন তারই পাল্টায় বলেন, “ভারতবর্ষে একটাই পরিবার ছিল। সেটা নেহরু পরিবার। তিনটে প্রধানমন্ত্রী দিয়েছে। দুটো লাশও দিয়েছে কিন্তু। মেদিনীপুরের অধিকারী পরিবার কী দিয়েছে? একটাও লাশ দেয়নি। মন্ত্রী থেকে চেয়ারম্যান, এমনকি বিধায়ক-সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদ নিয়ে রেখেছে ওরা।”
আরও পড়ুন: ৩৫৬ বনাম ১৫৬, ধনখড়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপতির কাছে দরবার তৃণমূলের
মদনের হুঁশিয়ারি থেকে বাদ যাননি রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি দিলীপ ঘোষও। তাঁকে ‘চমকাতে’ বারণ করে মদনের মন্তব্য, “বেশি চমকাবেন না। আমরা চমকাইতলা ঘুরে সরকারে এসেছি। আমি আগামী ৭ তারিখে নেতাই যাচ্ছি। সে দিন প্রমাণ হবে ওখানে পদ্ম ফুল ফুটবে কি না।” রাজ্যপালের এক্তিয়ার নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মদন। তিনি বলেন, “রাজ্যপাল সম্পূর্ণ আইন বহির্ভূত কাজ করছেন। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে মামলা হওয়া উচিত। আমি নিজেই মামলা করতে তৈরি।”
আরও পড়ুন: মতুয়া-বিবাদ মিটল, ‘অমিত আশ্বাসে’ শান্ত ঠাকুরনগরের ঠাকুর সাংসদ শান্তনু