মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শুভেন্দু অধিকারী ফাইল চিত্র
লোকায়ুক্ত হিসেবে রাজ্যপালের কাছে নাম গেল প্রাক্তন বিচারপতি অসীম রায়ের। মানবাধিকার কমিশনের সদস্য চেয়ারম্যান পদে প্রাক্তন বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্য এবং এই কমিটির সদস্য হিসেবে শিবকান্ত প্রসাদের নাম চূড়ান্ত করে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের কাছে পাঠানো হল। সোমবার বিধানসভায় স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠক করে এই তিনজনের নাম চূড়ান্ত করেছেন। এই নাম পাঠিয়ে দেওয়া হবে রাজভবনে। তাঁদের নামে রাজ্যপাল অনুমোদন দিলেই তা কাজ শুরু হবে।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে লোকায়ুক্ত নিয়োগ হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে সেইসঙ্গে রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন,‘‘আমাদের সকলেরই সাংবিধানিক সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে জানা উচিত। সেই মতো প্রত্যেকটি কাজ করতে হবে। আমরা জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের যে নিয়ম সেটাই আমরা মেনে চলি।’’
বিরোধীদলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘যে নামগুলি গিয়েছে সেগুলি প্রস্তাবিত নাম। রাজ্যপালই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণের অধিকারী। এই পরিস্থিতিতে আমি পৃথক নাম পাঠাব রাজ্যপালের কাছে।’’
বিধানসভার স্পিকার জানিয়েছেন, কমিটি যে নাম চূড়ান্ত করে পাঠাবে তাতেই রাজভবনের সম্মতি জানানোই রীতি। সংবিধানে সেটাই বলা আছে। প্রসঙ্গত, আমন্ত্রিত হলেও, সোমবারের বৈঠকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী উপস্থিত ছিলেন না। বিধানসভা সূত্রে খবর, গত ২২ ডিসেম্বর মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়ে শুভেন্দু লোকায়ুক্ত ও মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্য পদে মনোনীতদের নাম জানতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সরকার তা না জানানোয় তিনি আসেননি। অসুস্থ থাকায় পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ভার্চুয়ালি বৈঠকে যোগ দেন। বিরোধী দলের নেতার অনুপস্থিতি নিয়ে অবশ্য মুখ খুলতে রাজি হননি মুখ্যমন্ত্রী। এর আগে রাজ্যের তথ্য কমিশনার নিয়োগের বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা। এ প্রসঙ্গে স্পিকার বলেন, ‘‘আমি কখনও দেখিনি বিরোধী দলনেতা এই ভাবে বারবার অনুপস্থিত থেকেছেন। সূর্যকান্ত মিশ্র, আব্দুল মান্নান উভয়েই উপস্থিত থেকেছেন। বোধহয় রাজ্যপালের কাছে গিয়েছেন বিরোধী দলনেতা।’’ কমিশনের নামও এখনও আটকে রয়েছে রাজভবনে। সেই নামেও স্বাক্ষর করেননি রাজ্যপাল।