বিরবাহা হাঁসদা। — ফাইল চিত্র।
অরণ্য সপ্তাহে সব বিধায়ককে গাছ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য বন দফতর। যদিও গাছ নিয়েছেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী-সহ শাসকদলের মাত্র পাঁচ জন বিধায়ক। হতাশা প্রকাশ করে এ তথ্য জানিয়েছেন বনমন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা। তিনি এ-ও জানিয়েছেন, বিজেপির কোনও বিধায়কই গাছ নেওয়ার জন্য আবেদন করেননি।
১৪ থেকে ২০ জুলাই পর্যন্ত ছিল অরণ্য সপ্তাহ। এই সপ্তাহে রাজ্যের ২৯৪ জন বিধায়ককেই চারা গাছ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বন দফতর। যদিও বনমন্ত্রী জানিয়েছেন, মন্ত্রী পুলক রায় এবং জ্যোৎস্না মান্ডি-সহ শাসকদলের মোট পাঁচ জন বিধায়ক এই গাছ নিয়েছেন। তবে বিজেপির কেউ গাছ নিতে আসেননি। বিরবাহা জানিয়েছেন, এর পরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যে বিধায়কেরা গাছ নিতে চেয়ে চিঠি দেবেন, তাঁদেরই গাছ দেওয়া হবে। যে বিধায়কেরা চাইছেন, তাঁদের এলাকায় কত গাছ রয়েছে, তা হিসাব করেই চারা দেওয়া হচ্ছে। এক মাস পর তিনি তথ্য দেবেন যে, কত জন বিধায়ক গাছ নিয়েছেন। তবে গাছ নিলেই হবে না। বিরবাহা বলেন, ‘‘যে গাছ নেওয়া হয়েছে, তার যত্ন হচ্ছে কি না, আমাদের দফতরের আধিকারিক, কর্মীরা গিয়ে দেখে আসবেন। গাছ শুধু রোপণ করলে হবে না, বাঁচাতে হবে।’’
বিরবাহা এ-ও জানিয়েছেন, গাছ রোপণ এবং পরিচর্যার ক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধিদের দায়বদ্ধতা বেশি। সকলকে বুঝতে হবে যে, পরিবেশ বাঁচাতে হবে। তাঁর কথায়, ‘‘পরিবেশ বাঁচাতে মুখ্যমন্ত্রী চেষ্টা করছেন। তাঁর স্বপ্ন বাঁচানোর জন্য আমাদের সচেষ্ট হতে হবে। পরিবেশ না বাঁচলে আমরাও বাঁচব না, সবাইকে মাথায় রাখতে হবে।’’ বিরবাহার আক্ষেপ, বিরোধী বিজেপির কোনও বিধায়ক গাছ নিতে আসেননি। মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, কেন্দ্র ১০০ দিনের টাকা বন্ধ করায় এই গাছ পরিচর্যার সমস্যা হচ্ছে। তাঁর কথায়, ‘‘১০০ দিনের কাজের টাকা যাঁরা পেতেন, তাঁদের মাধ্যমেই গাছা রোপণ, পরিচর্যা করা হত। কেন্দ্র সেই টাকা বন্ধ করেছে। সে কারণে সমস্যা হচ্ছে।’’ মন্ত্রী জানিয়েছেন, সে কারণেই মুখ্যমন্ত্রী মমতার স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার জন্য জনপ্রতিনিধিদের এগিয়ে আসতে হবে। তিনি এ-ও জানিয়েছেন, এক দিন গাছ রোপণ করে, তার ছবি তুলে সমাজমাধ্যমে দিলে চলবে না। এই প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।