—প্রতীকী ছবি।
‘মৃত্যুদণ্ড’ ঘোষণার আগেই ঘটেছিল ‘খুনের’ ঘটনাটি। তবে ‘দণ্ডিত’ নয়, খুন করা হয়েছিল নিতান্তই নিরীহ এক জনকে!
মাসখানেক আগে, ঝাড়গ্রামের কাজলার জঙ্গলে সদ্য মা হওয়া এক হস্তিনীকে ঘুমপাড়ানি গুলির অতিরিক্ত ‘ডোজ়’ প্রয়োগ করে হত্যার তদন্তে এমনই রিপোর্ট জমা পড়ল কেন্দ্রীয় বন মন্ত্রকের কাছে। দেশের হস্তি-সংরক্ষণে সর্বোচ্চ সংস্থা ‘প্রজেক্ট এলিফ্যান্ট’-এর তদন্তে এমনই তথ্য উঠে এসেছে বলে সংস্থার এক শীর্ষ কর্তা জানিয়েছেন। একই অভিযোগে কলকাতা হাই কোর্টে একটি মামলাও রুজু করেছে পরিবেশপ্রেমী এক সংস্থা। আজ, সোমবার সেই মামলার শুনানি রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
পশ্চিম মেদিনীপুরের লালগড় এলাকায় মাসখানেক আগে, আতঙ্ক বয়ে এনেছিল দলছুট এক দাঁতাল। পাঁচ দিনে তার আক্রমণে মারা গিয়েছিলেন তিন গ্রামবাসী। পরিস্থিতি সামাল দিতে সেই খুনে দাঁতালকে ঘুমপাড়ানি গুলিতে কাবু করে উত্তরবঙ্গে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য বন দফতর। সেই দাঁতালকে ‘রোগ’ বা দুর্বৃত্ত ঘোষণার আগের সন্ধেয় তার খোঁজে নেমেছিলেন তাবড় বনকর্মীরা। এক বনকর্তা জানান, জঙ্গলে অন্য একটি হস্তিনীকে দেখে তাঁরা সেই খুনে দাঁতাল বলে ঠাওরে বসেন। ঘুমপাড়ানি গুলি করা হয় তাকে। পরের দিন সকালেও ফের ওই দুর্বল হস্তিনীকে আরও এক বার ঘুমপাড়ানি গুলি করা হয়।
কিছু ক্ষণের মধ্যেই মারা যায় সে। কেন্দ্রীয় সংস্থার দাবি, তাড়াহুড়ো করতে গিয়েই আসল ‘খুনি’র বদলে অন্য একটি হাতিকে গুলি করে বসেন বনকর্মীরা। প্রজেক্ট এলিফ্যান্টের এক কর্তা বলেন, ‘‘একটি খুনে দাঁতাল আর একটি মাদি হাতি— চেহারা দেখে বনকর্মীরা তফাত করতে পারলেন না! আরও আশ্চর্যের ব্যাপার, খুনে হাতিটিকে ‘রোগ’ হিসেবে ঘোষণার ফরমান জারি হয়েছিল বেলা ১০টা নাগাদ। তা হলে সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ তাকে গুলি করা হল কেন?’’