—প্রতীকী চিত্র।
এক সপ্তাহ বাংলায় কাটিয়ে ঝাড়খণ্ডে ফিরে গিয়েছে জ়িনতের ‘প্রেমিক’। ঝাড়খণ্ড সীমানা লাগোয়া এলাকায় পাওয়া পায়ের ছাপ দেখে সে ব্যাপারে এক প্রকার নিশ্চিত বন দফতর। তবে এখনই নজরদারিতে রাশ টানতে নারাজ তারা। বন দফতরের দাবি, এক বার ঝাড়খণ্ডে যাওয়ার পর পুনরায় এ রাজ্যে ফিরে এসেছিল বাঘটি। সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি এ বারও ঘটতে পারে বলেই তাঁদের আশঙ্কা।
গত সপ্তাহে বৃহস্পতিবার ঝাড়খন্ড থেকে এ রাজ্যে প্রবেশ করেছিল জ়িনতের ‘প্রেমিক’। প্রথমে ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়ির জঙ্গলে তার পায়ের ছাপ দেখা যায়। পরে পাঁচ দিন ধরে বাঁকুড়ার বিভিন্ন জঙ্গলে কার্যত দাপিয়ে বেড়ায় সে। বন দফতরের দাবি, বাঘটি এক রাতের জন্য পুরুলিয়ার কুইলাপালের জঙ্গলের দিকেও গিয়েছিল। তবে জঙ্গলমহলের বিভিন্ন জঙ্গলে প্রায় এক সপ্তাহ কাটানোর পর জ়িনতের প্রেমিক যে আপাতত বাংলা ছেড়েছে, সে ব্যাপারে বন দফতর নিশ্চিত।
বন দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘সোমবারের পর থেকে এ রাজ্যের জঙ্গলমহলে নতুন করে না বাঘের পায়ের ছাপ মিলেছে, না তার দেখা পাওয়া গিয়েছে। অন্য দিকে পুরুলিয়ার যমুনাগোড়া সংলগ্ন ঝাড়খণ্ডের সীমানা এলাকায় বাঘের পায়ের ছাপ দেখা গিয়েছে। এ থেকেই মনে করা হচ্ছে, বাঘটি এ রাজ্য ছেড়ে ঝাড়খণ্ডে চলে গিয়েছে।’’
এ দিকে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে এ রাজ্য থেকে ঝাড়খণ্ডে ফিরে যাওয়ার পর জ়িনতের প্রেমিক আবার ফিরে এসেছিল এ রাজ্যে। এবারও সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে, সেই সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে জঙ্গলমহলে এখনই নজরদারি কমাতে নারাজ বন দফতর। রাজ্যের সীমানা লাগোয়া প্রতিটি জঙ্গলে নজরদারি চালাতে আগের মতোই বনকর্মীদের কড়া নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রাজ্যের মুখ্য বনপাল ( কেন্দ্রীয় চক্র) এস কুলানডাইভেল বলেন, ‘‘ঝাড়খণ্ডের দলমা এলাকায় বাঘটি ফিরে গিয়েছে। ঝাড়খণ্ড বন দফতর এ ব্যাপারে নিশ্চিত তথ্য দিয়েছে। তা সত্ত্বেও আমরা এ রাজ্যের সীমানাবর্তী এলাকাগুলিতে নজরদারি অব্যাহত রাখছি।’’