রেশনে কারচুপি রুখতে ইলেকট্রনিক পরিমাপ যন্ত্রের সঙ্গে ই-পস মেশিন যুক্ত করার প্রকল্প চালু করতে চাইছে খাদ্য দফতর। ছবি: সংগৃহীত।
রেশন দোকানের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের ওজনে কারচুপির অভিযোগের অন্ত নেই। দীর্ঘ দিন ধরে এই অভিযোগের সম্মুখীন হয়ে আসছে খাদ্য দফতর। তাই এ বার নতুন প্রযুক্তি আনার বিষয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে তারা। রেশন দোকানে ইলেকট্রনিক পরিমাপ যন্ত্রের সঙ্গে ই-পস মেশিন যুক্ত করার প্রকল্প চালু করতে চাইছে খাদ্য দফতর। ই-পস যন্ত্রের সঙ্গে ইলেকট্রনিক ওজনযন্ত্র যুক্ত করে দেওয়া হলে, রেশন গ্রাহক কত ওজনের খাদ্যশস্য পাচ্ছেন তা খাদ্য দফতর অনলাইনের মাধ্যমে সরাসরি জানতে পারবে। এখন দু’টি যন্ত্রের মধ্যে কোনও সম্পর্ক না থাকায় ই-পস যন্ত্রে যে ওজনের খাদ্যশস্য প্রদানের তথ্য নথিভুক্ত হচ্ছে, তার কম দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু নতুন এই প্রযুক্তি যোগ করা হলে এই ব্যবস্থার মাধ্যমে ওজনের কারচুপি পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব বলে মনে করছেন দফতরের আধিকারিকরা।
তবে রেশন বণ্টনে নতুন এই প্রযুক্তিকে যুক্ত করতে গেলে বড় অঙ্কের খরচ হবে বলেই জেনেছেন দফতরের আধিকারিকরা। ই-পসের সঙ্গে ওজনযন্ত্র যুক্ত করার প্রক্রিয়ায় খরচ হতে পারে প্রায় ১৬ কোটি টাকা। পাশাপাশি চোখের মণির স্ক্যানারের খাতে খরচ ধরা হয়েছে ১৮ কোটি টাকা। এখন বেসরকারি এজেন্সির মাধ্যমে ই-পস যন্ত্র বসানো ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ হয়। নতুন ব্যবস্থা সংযোজিত হলে বেসরকারি সংস্থার ওপরেই ছাড়তে হবে প্রযুক্তি সংযোজনের কাজ। এর জন্য অর্থ দফতরের কাছে অনুমোদন চাওয়া হয়েছে খাদ্য দফতরের তরফে। অর্থ দফতরের অনুমোদন পেলেই পরবর্তী প্রক্রিয়া শুরু করা সম্ভব হবে। এখন রেশন দোকানে ই-পস যন্ত্রের মাধ্যমে অনলাইনে গ্রাহকদের খাদ্যশস্য দেওয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। গ্রাহকের আধার নম্বর যাচাই ও রেশন কার্ড সোয়াইপ করা হয়। এই প্রক্রিয়াতে ওজনে কারচুপি রোখা কখনওই সম্ভব নয়। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যে দেশে এই প্রকল্প চালুর বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছে। পাশাপাশি আঙুলের ছাপ ছাড়াও চোখের মণি স্ক্যান করে আধার নম্বর যাচাইয়ের ব্যবস্থা চালু করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যাতে সার্বিক ভাবে রেশন দোকানের বিরুদ্ধে ওঠা ওজনের কারচুপির অভিযোগ পুরোপুরি বন্ধ করা যায়। নতুন এই পরিষেবা রাজ্যে চালু করতে খাদ্য দফতর এখন অর্থ দফতরের মুখাপেক্ষী।