ফাইল চিত্র।
তাকে বাহন করেই ২৭ জুলাই কোচবিহারে নেমে স্থানীয় বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক ঘোষণা করেছিলেন, কোচবিহার থেকে বাগডোগরায় ছোট বিমানে যাত্রী পরিষেবা শুরু হবে। কিন্তু ন’টি আসনের সেই ছোট সে সনা বিমান এখন অসহায় অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে কোচবিহার বিমানবন্দরে। কোনও নিরাপত্তা, কোনও দমকল পরিষেবা না-থাকায় উড়তে পারছে না সে।
বিমানবন্দরের কর্তারা জানান, অনেক সময়েই অসুস্থ ব্যক্তিকে জরুরি ভিত্তিতে ছোট বিমানে চাপিয়ে চিকিৎসার জন্য কলকাতা বা অন্য শহরে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন হয়। এখন তেমন জরুরি প্রয়োজন পড়লেও হাত গুটিয়ে বসে থাকতে হবে বিমানবন্দরের কর্তাদের।
সামনেই স্বাধীনতা দিবস। সেই সময় সারা দেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। বিশেষ ভাবে জোর দেওয়া হয় রেল স্টেশন, বিমানবন্দরগুলিতে। অথচ কোচবিহার বিমানবন্দর থেকে যাবতীয় নিরাপত্তারক্ষী তুলে নিয়েছে রাজ্য সরকার। ফলে সেখানকার নিরাপত্তার কী হবে, তা নিয়ে ভীষণ দুশ্চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন বিমানবন্দর-কর্তৃপক্ষ। এই নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে নিয়মিত আলোচনা চলছে তাঁদের।
রাজ্য প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, ‘‘নিরাপত্তা বা এই ধরনের সহায়তার জন্য কেন্দ্রের তরফে রাজ্যকে লিখিত ভাবে অনুরোধ জানানোর কথা।’’ কোচবিহার বিমানবন্দরের নিরাপত্তা চেয়ে এমন কোনও অনুরোধ এখনও আসেনি বলে নবান্ন সূত্রের খবর।
নিশীথবাবু বিমান পরিষেবার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করার পরে ওই বিমানবন্দর থেকে সব নিরাপত্তারক্ষী এবং দমকলকর্মী তুলে নেয় রাজ্য সরকার।
বিমানবন্দর-কর্তৃপক্ষ সূত্রের খবর, সেই সময় বিমানবন্দরে কিছু কাজের জন্য ছ’জন অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মী ছিলেন। তাঁদের সঙ্গে আরও ১৭ জন অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মীকে নিরাপত্তার কাজে নিয়োগ করা হয়েছে। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে যে-ধরনের নিরাপত্তার কথা বলা হয়, নিরস্ত্র অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মীদের দিয়ে যে সেটা সম্ভব হবে না, কর্তৃপক্ষ তা বিলক্ষণ জানেন।