নিয়োগ মামলায় ধৃত প্রসন্ন রায়। —ফাইল চিত্র।
নিয়োগ মামলায় ধৃত ‘মিডলম্যান’ প্রসন্ন রায়ের নিউ টাউনের ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালাল সিবিআই। বুধবার সকালে ওই ফ্ল্যাটে পৌঁছন সিবিআই আধিকারিকেরা। রাত সাড়ে ৯টার পর তাঁরা বেরিয়ে গিয়েছেন বলে খবর। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রসন্নের ওই ফ্ল্যাটে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত কিছু নথির খোঁজ করা হয়েছে। নথি ওই ফ্ল্যাটে আছে বলে খবর পেয়েছিলেন তদন্তকারীরা।
প্রসন্ন বর্তমানে জেলে। নিউ টাউনের যে ফ্ল্যাটে সারা দিন ধরে তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই, সেটি তাঁর স্ত্রীর নামে রয়েছে। ওই ফ্ল্যাটেই বুধবার সকালে হাজির হয় কেন্দ্রীয় সংস্থার একটি দল। সেখান থেকে বেশ কিছু নথি উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রসন্নের নিউ টাউনের ফ্ল্যাটে আগেও তল্লাশি চালানো হয়েছে। অভিযোগ উঠেছিল, প্রসন্নের ফ্ল্যাট থেকেই বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের ফ্ল্যাটের দলিল উদ্ধার করা হয়েছে। তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিক বার এর সঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির তুলনা টেনে দিলীপের গ্রেফতারির দাবি তুলেছিলেন। তাঁর যুক্তি ছিল, বান্ধবী অর্পিতার বাড়ি থেকে টাকা উদ্ধারের কারণে পার্থকে গ্রেফতার করা হলে, প্রসন্নের ফ্ল্যাট থেকে দলিল পাওয়ায় দিলীপকে কেন গ্রেফতার করা হবে না? যদিও প্রসন্ন দিলীপের সঙ্গে কোনও রকম যোগাযোগের কথা অস্বীকার করেছেন। দিলীপও তৃণমূলের দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন।
নিয়োগ মামলায় গত বছর প্রসন্ন গ্রেফতার হন। তাঁর কাছ থেকে নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক নথি উদ্ধার হয়েছিল। সিবিআই সূত্রে খবর, ২০০২ সাল থেকে গাড়ি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন প্রসন্ন। আগে উত্তর কলকাতায় এই সংস্থার দফতর ছিল। পরে সল্টলেকে সরিয়ে নিয়ে যান। প্রসন্নের সংস্থার এক কর্মী দাবি করেছেন, শিক্ষা দফতরেও গাড়ি ভাড়া দিতেন তিনি। এসএসসির উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা নিয়োগ মামলায় অপর ধৃত শান্তিপ্রসাদ সিন্হার অফিসেও একাধিক বার গাড়ি ভাড়া দিয়েছিলেন প্রসন্ন।