ফাইল চিত্র।
সুন্দরবনের নদী-খাঁড়িতে মাছ ধরতে গিয়ে ফের বাঘের মুখে পড়লেন এক মৎস্যজীবী। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সজনেখালি রেঞ্জের ঝিলা ৫ নম্বর জঙ্গল লাগোয়া হরিখালি খাঁড়িতে। সঙ্গীদের তৎপরতায় অবশ্য প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন সুদর্শন সর্দার নামের ওই মৎস্যজীবী।
বন দফতর ও স্থানীয় সূত্রের খবর, গত সোমবার গোসাবার ৭ নম্বর সোনাগাঁ গ্রাম থেকে সুদর্শন-সহ পাঁচ জন মৎস্যজীবীর একটি দল মাছ-কাঁকড়া ধরতে রওনা দেয়। ঝিলা জঙ্গল লাগোয়া গোমর নদীর একটি খাঁড়িতে নৌকার উপরে সুদর্শনের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে বাঘটি। সুদর্শনের সঙ্গীরা বৈঠা, বাঁশ, লাঠি দিয়ে বাঘটিকে আঘাত করে জঙ্গলে পাঠানোর চেষ্টা করেন। মিনিট চারেক ধরে চলে বাঘে-মানুষে লড়াই। বহু আঘাতেও সুদর্শনকে ছাড়ছিল না দক্ষিণরায়। সেই সময় কাঁকড়া ধরার শিক দিয়ে আঘাত করা হয় বাঘটিকে। তাতেই সুদর্শনকে ছেড়ে খাঁড়িতে লাফ দিয়ে জঙ্গলে গা ঢাকা দেয় বাঘটি।
ঘটনাস্থলে যান সজনেখালি রেঞ্জের বনকর্মীরা। সকলে সুদর্শনকে গোসাবা ব্লক গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে কলকাতার চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের সহ ক্ষেত্র অধিকর্তা সৌমেন মণ্ডল বলেন, “এই দলটির মাছ ধরার বৈধ অনুমতিপত্র ছিল। তবে বেশি মাছ-কাঁকড়ার লোভে মৎস্যজীবীরা জঙ্গল, খাঁড়ির গভীরে ঢোকায় বিপদ বাড়ছে।”